Logo
Logo
×

সারাদেশ

দুপক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত, এলাকা পুরুষশূন্য!

Icon

কালকিনি-ডাসার (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম

দুপক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত, এলাকা পুরুষশূন্য!

মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে শুক্রবার দুইপক্ষের সংঘর্ষে ইউপি সদস্য ও তার ছেলেসহ তিনজন নিহত হন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুরুষরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। ফলে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে এলাকাটি।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ, র‌্যাব  ও সেনাবাহিনী।

শনিবার ভোররাতে আক্রান্ত এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কিছু বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।  তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতের ঘটনায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও  ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আতাউর রহমান আক্তার শিকদারের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল; কিন্তু আক্তার শিকদারের নেতৃত্বে তার লোকজন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওই এলাকায় অসহায় পরিবারের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। এর জেরে ওই এলাকার সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি আক্তার শিকদার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন।

সম্প্রতি এলাকাবাসী আকতার শিকদারের নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করেন। কিছু দিন গা-ঢাকা দিয়ে ইউপি সদস্য আক্তার শিকদার লোকজন নিয়ে শুক্রবার শেষরাতের দিকে হামলা চালায় এলাকার স্থানীয় অসহায় পরিবারের লোকজনের ওপর। এতে বাধা দেয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের সমর্থকরা।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সঙ্গে ইউপি সদস্য মো. আতাউর রহমান আক্তার শিকদার লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে উভয়পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ইউপি সদস্য মো. আতাউর রহমান আক্তার শিকদার (৪৮) ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় গুরুতর আহত হন আক্তার শিকদারের ছেলে মো. মারুফ শিকদার (২০) ও তার সহযোগী সিরাজুল চৌকিদার (৪৫)। তারা দুজনই হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

তবে ইউপি সদস্য আক্তার শিকদারের নামে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

অপরদিকে তাদের মৃত্যুর খবরে বাঁশগাড়ী এলাকায় মুহূর্তের মধ্যে পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে। অনেকে আবার নিরাপত্তার স্বার্থে বাড়িঘরের জিনিসপত্র নিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে প্রাণভয়ে আশ্রয় নেন।

এলাকাবাসী বলছেন, সাধারণ মানুষ আমরা এলাকায় শান্তি চাই। কোনো হানাহানি চাই না। ভোরে কিছু বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এলাকা শান্ত আছে।

কালকিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নয়ন জানান, বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকাটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে।  বর্তমানে পুরো এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।  

এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ বলেন, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বাঁশগাড়ী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন আছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত রয়েছে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম