প্রতারক চক্রের ফাঁদ
যেভাবে ১২ লাখ টাকা খোয়ালেন প্রবাসীর স্ত্রী
ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম
প্রতীকী ছবি
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পর্নোগ্রাফি চক্রের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ১২ লাখ টাকা খুইয়ে দিশেহারা এক প্রবাসীর স্ত্রী। এ ঘটনায় থানায় ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন। মামলায় ওই চক্রের দুই নারী সদস্যকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে দুই নারীর গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ওসি গোলাম রসুল। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের দুই নারীকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর রোজ ভ্যালি গার্ডেন থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ফরিদপুরের
আলফাডাঙ্গা উপজেলার সিকিপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মোল্যার মেয়ে কাকলী বেগম এবং
পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার আদর্শ গ্রামের মো. ইউসুফ খানের মেয়ে
তানিয়া খানম।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা
যায়, বোয়ালমারীর গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মিলন শিকদারের
স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের শ্বশুরবাড়িতে সম্পর্কে বেয়াইন হওয়ার সুবাদে আসা-যাওয়া করতেন
প্রতারক তানিয়া খানম। এক পর্যায়ে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তানিয়া বেয়াইন সোনিয়ার মোবাইল
ফোন থেকে ব্যক্তিগত ভিডিও নিজের মোবাইলে নিয়ে সেই ভিডিও ফাইল সুপার এডিট করে অশ্লীল
ভিডিও তৈরি করেন। এরপর থেকে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে
সোনিয়ার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে
নেয় প্রতারক চক্র। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সোনিয়া ২২ ডিসেম্বর বোয়ালমারী থানায়
একটি মামলা করেন। মামলার পর বোয়ালমারী থানার
উপপরিদর্শক শামীম দেওয়ানের নেতৃত্বে পুলিশের এক টিম অভিযান চালিয়ে বুধবার ঢাকার যাত্রাবাড়ীর
রোজ ভ্যালি পার্ক থেকে দুই আসামি কাকলী বেগম ও তানিয়া খানমকে গ্রেফতার করে। এ সময়
পুলিশের উপস্থিতি টের পেরে আরেক আসামি বদিউল আলম তুহিন পালিয়ে যায়।
প্রতারক চক্রের বাকি আসামিরা
হলেন, বোয়ালমারী
উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের মো. মফিজুর রহমানের ছেলে সেলিম খান ওরফে
সুমন শিকদার, তার স্ত্রী ফারজানা বেগম, একই ইউনিয়নের নয়নীপাড়া গ্রামের মুক্তার মোল্লার
ছেলে মুজাহিদ এবং কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার ঘোড়াশাল গ্রামের শাহ আলমের ছেলে
মো. বদিউল আলম তুহিন। তারা সবাই পর্নোগ্রাফি চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক
গোলাম রসুল বলেন, পর্নোগ্রাফি আইনে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার
করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত
রয়েছে।