পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত, বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ এএম
পঞ্চগড়ে চারদিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ নিয়ে তৃতীয়বার মৃদু শৈত্য প্রবাহের কবলে পড়েছে এ জেলা। বিশেষ করে এ জনপদটি হিমালয়ের খুব কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা কনকনে হিমেল বাতাসে কারণে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। তবে সকালের দিকে দেখা মিলছে সূর্যের ঝলমলে রোদ।
শুক্রবার সকাল ৬ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ ১০০ শতাংশ ছিল। যা গতকাল সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা গতকাল সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। টানা চারদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কনকনে শীত অব্যহত রয়েছে। এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে সকালে ও সন্ধ্যার পর হিমেল বাতাস ও কুয়াশা নামে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও পারে।
এদিকে পৌষের কনকনে ঠান্ডা ও কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। শীতার্ত মানুষেরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। বর্তমানে সকালে দিকে রোদেরও দেখা মিললেও তেমন তাপ নেই। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির এই মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেনা। ফলে আয় কমেছে তাদের। এসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। শীতের একেকটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন। প্রাকৃতিক এই বৈরিতা থেকে বাঁচতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যের আবেদন অসহায়মুখগুলোর।
তীব্র শীত আর একটানা কুয়াশার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।