যশোরে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে দেড় লাখ নেতাকর্মী সমাগমের টার্গেট
যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ পিএম
যশোরে ভোটের মাঠ গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছে জামায়াতে ইসলামী। ধারাবাহিক সাংগঠনিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছে দলটি। এবার সেই ধারাবাহিকতায় যশোরে আয়োজন করা হয়েছে কর্মী সম্মেলন।
শুক্রবার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। কর্মী সম্মেলনে দেড় লাখ জনসমাগমের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছেন জামায়াত নেতারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান যশোর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল। প্রেস ক্লাব যশোর মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেন, জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা ২০০৮ সালের পর প্রকাশ্যে কোনো সভা-সম্মেলন করতে পারেনি। গত ১৬ বছর গণতন্ত্রের শত্রু ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক দল ও মতের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর এ জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা ছিল বেশি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাশেম আলীকে কথিত বিচারের নামে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। সাবেক আমিরে জামায়াত ভাষাসৈনিক কেয়ারটেকার সরকারের রূপকার অধ্যাপক গোলাম আযম, নায়েবে আমির মাওলানা একেএম ইউসুফ, সিনিয়র নায়েবে আমির আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন ও সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী, ৫ বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সুবহানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে কারাগারে বন্দি রেখে হত্যা করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের অনুগত ও অতি উৎসাহী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যশোরে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১০ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে ও অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুলি করে পঙ্গু করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার যশোর জেলা জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে প্রায় ১ হাজার ২শর অধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে মাসের পর মাস কারাগারে বন্দি করে রেখেছিল। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়া করেছিল। বাড়িঘরে ঘুমাতে পারেনি অসংখ্য নেতাকর্মী। জামায়াতে ইসলামীর যশোর জেলা কার্যালয় খুলতে দেওয়া হয়নি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা লাভ করেছে। দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে পেয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দল স্বাধীনভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে। এমন একটি পরিবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা আজ ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৯টায় যশোরের ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানে কর্মী সম্মেলন করবে। এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর সিদ্দিক, সহকারী সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস, রেজাউল করিম, অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক সামছুজ্জামান, অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, অধ্যাপক আবুল হাশিম রেজা, আব্দুল কাদের, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।