দ্বিতীয় স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে পালালেন স্বামী, প্রথম স্ত্রী আটক
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ পিএম
ময়মনসিংহের নান্দাইলে দ্বিতীয় স্ত্রী রিমা আক্তারের (১৫) মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে স্বামী পারভেজ মিয়া। এমন ঘটনা ঘটেছে বুধবার সকালে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লোকজন ধাওয়া দিয়েও ধরতে পারেননি পারভেজ মিয়াকে।
এদিকে রিমা আক্তারের পরিবার মেয়েকে তার স্বামী ও প্রথম স্ত্রী হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় পারভেজ মিয়ার প্রথম স্ত্রী ঝুমা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত রিমা আক্তার আচারগাঁও ইউনিয়ন কোনাডাংগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
জানা গেছে, বুধবার সকালে রিমা আক্তারকে অচেতন অবস্থায় নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তার স্বামী পারভেজ মিয়া। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করলে স্বামী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পারভেজ মিয়া আচারগাঁও ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের আহমেদ হোসেনের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রিমা আক্তার সিংরইল ইউনিয়নের দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার মাঝে পারভেজ মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। গত তিন মাস আগে আদালতের মাধ্যমে এভিডেভিট করে বিয়ে করে। এদিকে রিমা আক্তার জানত না তার স্বামীর প্রথম স্ত্রী রয়েছে। বিষয়টি যখন জানাজানি হয় তখন দুজনের মধ্যে ব্যাপক ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দ্বিতীয় স্ত্রী রিমা আক্তার বায়না ধরে প্রথম স্ত্রী ঝুমা আক্তার বড়ি থেকে না গেলে সেও বাড়িতে যাবে না।
নিহত রিমা আক্তারের মা বলেন- আমার মেয়েকে কৌশলে পারভেজ বিয়ে করে। তারপর থেকে আর খোঁজখবর নেয়নি। সকালে মৃত্যুর খবর শুনেছি। আমার মেয়েকে তার স্বামী ও প্রথম স্ত্রী মিলে হত্যা করেছে।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনা জানতে পেরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে প্রথম স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।