ভৈরবে খোঁড়া যুক্তিতে তদন্ত করতে অস্বীকৃতি জানালেন তদন্ত কর্মকর্তা। সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমাদানের কথা থাকলেও মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) অভিযোগকারীদের মোবাইল নাম্বার না থাকার অজুহাতে তদন্তে অস্বীকৃতি জানান কমিটির আহবায়ক আবুল হোসেন।  

ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভৈরবের বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে সভাপতি ও  প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার দুনীতির অভিযোগ এনে এলাকাবাসী উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর বিচারের আবেদন করলে গত ১১ ডিসেম্বর ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন ইউএনও। 

ভৈরব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেনকে আহবায়ক করে পরিসংখ্যান অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। 

অভিযোগকারীদের একজন বিল্লাল মিয়া বুধবার সকালে যুগান্তরকে জানান, দুর্নীতিকে আড়াল করতে তদন্ত কমিটির আহবায়ক ৫ দিন অফিসে ছুটি নিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। যথাযথ প্রমাণাদি ও ঠিকানা থাকার পরও এমন খোঁড়া যুক্তিতে তদন্ত বানচালের অপচেষ্টা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তার অসদাচরণের সামিল। 

তিনি বলেন, অভিযোগে মোবাইল নাম্বার না থাকলেও আমাদের এলাকার সবাই চেনেন। তিনি চেষ্টা করলেই আমাদের খোঁজ করে ডাকতে পারতেন। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন জানান, অভিযোগকারীদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার না থাকায় তদন্ত কাজ করা যাবে না বলে আমরা ইউএনওকে জানিয়েছি। যেকোনো অভিযোগ তদন্ত করতে হলে অভিযোগকারীর পূর্ণ ঠিকানা থাকা আবশ্যক।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন জানান, অভিযোগকারীরা পূর্ণ ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে পুনরায় অভিযোগ করলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবারও ঘটনার তদন্ত করার ব্যবস্থা করব। এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি প্রমাণ হলে কেউ রেহাই পাবে না।