আ.লীগ-বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১৫, বাড়ি ভাঙচুর

ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ পিএম

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কয়েক দফায় রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সাহিদুজ্জামান সাহিদের সঙ্গে সাবেক তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদের বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জেরে মাঝে মাঝেই ওই দুই প্রভাবশালী নেতার সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষ ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে একপর্যায়ে পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন হামিদ চেয়ারম্যান। মঙ্গলবার বিকালে পেঁয়াজের জমি দেখতে বাড়িতে আসেন তিনি। খবর পেয়ে সাহিদের সমর্থকরা হামিদের বাড়িতে গিয়ে তার ওপর হামলা করে।
হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে এর প্রতিবাদ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. হারুন মাতুব্বরের সমর্থকরা। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হন। দফায় দফায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় ৫ থেকে ৬টি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এতে হামিদ চেয়ারম্যানসহ উভয় দলের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান জানান, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।