কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনপদ
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনপদ। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে চারদিক। এরই মধ্যে বইতে শুরু করেছে চলতি শীত মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ।
পৌষের শুরুতেই গত কয়েক দিন থেকে মধ্যরাতে বৃষ্টির মতো করে পড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার আড়ালে ঢাকা পড়েছে সূর্য। জেলার ৯ উপজেলার মানুষ শীতের প্রকোপে চরম বিপাকে পড়েছেন। সবচেয়ে কষ্টে রয়েছেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবীরা। সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
জেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বুধবার ভোর থেকে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও নিম্নগামী হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। চলতি মৌসুমে আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি। বুধবার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আদ্রতা ৯৮ শতাংশ; যা চলতি শীত মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
ঘন কুয়াশায় সূর্য ঢাকা পড়ায় রোদের উষ্ণতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন লোকজন। ফলে দিনের বেলাতেও খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। রাতের বেলায় পুরোনো কম্বল ও কাঁথা দিয়ে কেউ কেউ শীত নিবারণ করলেও দিনের বেলায় পড়তে হয় বিপাকে। দিনের বেলায় গরম পোশাকের অভাব দেখা দেওয়ায় পুরোনো কাপড় জড়িয়ে কাজে বের হতে দেখা যায় দিনমজুর শ্রমিকদের।
জেলা শহরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ওমর শহিদুর রহমান বলেন, এই এলাকাটা ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। নদের ঠাণ্ডা বাতাসে গরিব মানুষগুলো খুবই কষ্টে আছে। সরকার থেকে কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। ফলে গরম কাপড়ের সংকটে পড়েছে সাধারণ দরিদ্র মানুষজন।
দিনমজুর সাগর বলেন, রাইতত গতবারের কম্বল দিয়া ঠাণ্ডা পার করি, দিনত পড়ার মতো গরম জামা নাই হামার। কম্বল না দিয়া গরম জামা দেও।
ওষুধ ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন, গত দুই দিন থেকে আজকের ঠাণ্ডাটা খুব বেশি। আজ বাতাসের কারণে সূর্যের উত্তাপ গায়ে লাগছে না। ঘন কুয়াশায় সব ধোঁয়াশা লাগে।