Logo
Logo
×

সারাদেশ

চতুর্থ বিয়ে নিয়ে তর্ক, সংঘর্ষে ১০ নারী-পুরুষ আহত

Icon

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম

চতুর্থ বিয়ে নিয়ে তর্ক, সংঘর্ষে ১০ নারী-পুরুষ আহত

চতুর্থ বিয়ের কথা নিয়ে তর্কের জের ধরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মুনসুরাবাদ গ্রামের দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় ১০ নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ৬ জনকে ভাঙ্গা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার বিকালে ভাঙ্গা উপজেলার মুনসুরাবাদ বাজারে মাওলানা জাহিদ ওয়াজ মাহফিলে আসা ৮০০ লোকের খাওয়ার জন্য বাজার করেন। এত লোকের আয়োজন দেখে তার চাচাতো ভাই রাসেল মোল্লা চায়ের দোকানে বসে বলেন, আমার চাচাতো ভাই জাহিদ আগে ৩টি বিয়ে করেছে। সে যে পরিমাণ টাকা খরচ করে তাতে তার আরেকটি বিয়ে করা উচিত ।

এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে জাহিদ মাওলানার শ্বশুর (৩নং স্ত্রীর বাবা) বাবর আলী মাতুব্বর (মেম্বার) দলের ইলিয়াস মাতুব্বরের সঙ্গে আলম মোল্লার (মেম্বার) দলের রাসেল মোল্লার ৪টি বিয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটি ও একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনার জের ধরে বুধবার সকালে মুনসুরাবাদ গ্রামবাসী দুই দলে ভাগ হয়ে বাবর আলী মাতুব্বরের দলের লোকজন ও আলম মোল্লার দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, ডাল, টেঁটা, রানদা, ইটপাটকেল নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পালটা-ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। আলম মোল্লার লোকজনের হামলায় বাবর আলী মাতুব্বরের লোকজন বেশি আহত হন।

পরে আশপাশের স্থানীয় মাতুব্বর ও ভাঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। সংঘর্ষে উভয় দলের ১০ জন আহত হন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ মাওলানা জাহিদ ও তার ভাই আলম মোল্লাকে আটক করেছে।

এ বিষয় লালন মাতুব্বর বলেন, জাহিদ মাওলানার ভাই আলম মোল্লার লোকজন বাবর আলী মাতুব্বরের লোকজনকে মারধর করেছে। সেই বিচার আলম মোল্লা না করে উল্টো আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে ৭-৮ জন লোককে আহত করেছে।

গুরুতর আহত রিয়াজ মাতুব্বর (৫৫), একলাচ মাতুব্বর (৩৭), সাইদুল মোল্লা (৩৮), চম্পা বেগম (৩০), দলা মাতুব্বর (২৫) ও কাওছার মাতুব্বরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ মোকলেসুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করি। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয় নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম