নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পরকীয়ার ঘটনায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুপক্ষের মধ্যে পালটাপালটি সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মো. হালিম (৪০) নামের যুবদলের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটে উপজেলার আবিরপাড়া বাজারে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে।

গুলিবিদ্ধ হালিম আবিরপাড়া গ্রামের সমির উদ্দিন হাজীবাড়ির মজিবুল হকের ছেলে এবং আমিশাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সেক্রেটারি প্রার্থী।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আবিরপাড়া ভূঁইয়া বাড়ির অটোরিকশাচালক হোসেনের পরকীয়া করার সময় হাতেনাতে ধরেন যুবদল নেতা ফিরোজ। এ সময় ফিরোজ অটোচালক হোসেনের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।

শর্তসাপেক্ষে চাঁদার টাকা দেবেন বলে ছাড়িয়ে নেন আরেক যুবদল নেতা শান্ত। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে যুবদলের অন্যান্য নেতারা টাকা দিতে নিষেধ করেন। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে ফিরোজকে একই ওয়ার্ডের শান্ত ও তার গ্রুপের লোকজন তুলে নিয়ে মারধর করে এবং ফিরোজের বাড়ি ভাঙচুর করে।

পর দিন রাতে ফিরোজ গ্রুপের লোকজন রাশেদ নামের এক লোককে অপহরণ করে মারধর করেন। মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় উভয় গ্রুপের ৬ জন আহত হন।

আহতরা হলেন- আবিরপাড়া গ্রামের রাশেদ, সুমন, সাব্বির, সহিদ ও গুলিবিদ্ধ হালিম। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ হালিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে হালিমের শরীর থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি বাহির করা হয়েছে। এখনো তার শরীরে কয়েক রাউন্ড গুলি রয়েছে বলে তার পরিবার জানান। সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রয়েছে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আশ্রাফ উদ্দিন জানান, গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। কে বা কারা করেছে কিছুই জানি না।

সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোরশেদ আলম জানান, পরকীয়া ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। অভিযোগ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।