Logo
Logo
×

সারাদেশ

২ গ্রুপের সংঘর্ষে শ্রমিক দল নেতার মৃত্যু, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

Icon

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম

২ গ্রুপের সংঘর্ষে শ্রমিক দল নেতার মৃত্যু, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

নরসিংদীর পাচঁদোনায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত শ্রমিক দল নেতা আলম মিয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ৬ দিন পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আহত শ্রমিক নেতা আলম মিয়া ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

এ খবর এলাকায় পৌঁছলে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিক দল নেতারা ঢাকা সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। স্থানীয় বিএনপি নেতা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নেন।

মৃত আলম মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের আলিমদ্দিনের পুত্র। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে নরসিংদীর পাঁচদোনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি লালমিয়া মেম্বার ও যুবদল নেতা মোসাদ্দেক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মোসাদ্দেক ও তার লোকজন লালমিয়া মেম্বারের লোকজনের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। হামলায় লাল মিয়া মেম্বারের লোকজনের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়।

ওই ঘটনায় মাথায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত পাঁচদোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলম মিয়াকে (৫৫) ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৬ দিন পর মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আলম মিয়ার মৃত্যুর খবরে পুনরায় পাঁচদোনা মোড় অশান্ত হয়ে পড়ে। শ্রমিক দল নেতারা রাস্তায় আগুন লাগিয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে আলর মিয়া হত্যায় জড়িত যুবদল নেতা মোসাদ্দেকের ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। খবর পেয়ে মধাবদী থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও স্থানীয়  বিএনপি নেতাদের হস্তক্ষেপে আড়াইঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধরা। মারামারি ঘটনায় লাল মিয়া মেম্বারের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে মোসাদ্দেককে ১নং আসামিসহ ১৯ জনকে আসামি করে ১৯ ডিসেম্বর মধাবদী থানায় মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, নরসিংদীর পাঁচদোনায় আধিপত্য বিস্তার, এলাকার নিয়ন্ত্রণ ও সিএনজি স্ট্যান্ড ও কলকারখানার জুট ব্যবসা দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি লাল মিয়া ও স্থানীয় বিএনপির নেতা মোসাদ্দেক হোসেন গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরই জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে লাল মিয়া মেম্বারের প্রবাসী ছেলেকে মারধর করে মোসাদ্দেক সমর্থকরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লাল মিয়া সমর্থকরা মোসাদেক সমর্থকদের ধাওয়া দেয়। ওই সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ১ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩ জন আহত হয়। সংঘর্ষে আহত শ্রমিক দল নেতা আলম মিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাধবদী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, বিএনপির দুই গ্রুপের আধিপত্য কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকালে চিকিৎসাধীন আলমের মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম