‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ ও ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ নামক দুটি ফেসবুক পেজ থেকে নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-ভিত্তিহীন পোস্টের মাধ্যমে অপপ্রচার করা হয়েছে। এ অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা ছাত্রদল।

মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদী জেলা বিএনপির চিনিশপুর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রিফাত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে নিয়ে একটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অবান্তর পোস্ট করা হয়। বিগত চার দিন পূর্বে ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ নামক ফেসবুক আইডি দিয়েও মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়। সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার এর আগে নাহিদকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুম করে রাখে। পরে সাড়ে ৮ মাস পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের ওপর নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার চালানো হয়। ৩৫টি রাজনৈতিক মামলা, ছয়বারের কারা নির্যাতন ও গুমের শিকার হতে হয়েছে সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে। পতনের পূর্বে সর্বশেষ রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা ও কারা নির্যাতনের জন্য সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ তার আপন বড় ভাই ও মায়ের জানাজা-দাফন থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, জুলাই আগস্টের সরকার পতনের আন্দোলনে মাধবদী পৌরসভা ছাত্রদল কর্মী শাওন হত্যা মামলায় বাদী অলিউল্লাহকে বাসা থেকে তুলে এনে শেখ হাসিনাসহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া হয়। এ সময় বাদীকে উদ্ধার করে ষড়যন্ত্র প্রতিরোধের ঘটনায় সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ আওয়ামী লীগের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে  উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয়প্রতিপন্ন, ভাবমূর্তি নষ্টসহ ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের ব্যক্তিগত ছবি এডিটিং করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালায়।

এ সময় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সাটিরপাড়া কালী কুমার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি ক্রীড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেই। সেখানে তোলা আমার ছবি এডিট করে ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যেটিতে এআই টেকনোলজির মাধ্যমে আমার কোমরে পিস্তলসদৃশ বস্তু দেখানো হয়েছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভুয়া। আমরা থানায় জিডিসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। তাছাড়া দলের পক্ষ থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন ও সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক রাব্বী মিয়া, সহ-দপ্তর আফজাল হোসেন মোল্লা, প্রত্যয় প্রধান, ছাত্রদল নেতা ইবনে আদেল শশি, সজিব পাল ঝুমনসহ জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।