বিএনপি নেতার নেতৃত্বে ধান লুটের অভিযোগ
যুগান্তর প্রতিবেদন, আমতলী (বরগুনা)
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
রাতের আঁধারে জোরপূর্বক দখলীয় জমির পাকা ধান বিএনপি নেতা ডালিম হাওলাদার ও তার সহযোগীরা কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শিক্ষক মনিরুজ্জামান বাবুল হাওলাদার।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুজ্জামান বলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার নেতৃত্বে ডালিম হাওলাদার ও তার সহযোগীরা এ ধান কেটে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা মৌজায় পৈত্রিক ও মাতার সম্পত্তি হিসেবে ৪.৮৮ একর জমি রয়েছে। ওই জমি আমি ও আমার তিনভাই ভোগদখল করে আসছি। গত শুক্রবার রাতে আমার ওই জমির পাকা ধান ডালিম হাওলাদার ও জুয়েল মাতুব্বরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী রাতের আঁধারে ধান কেটে নেয়। পর দিন শনিবার সকালে বিষয়টি আমতলী থানার ওসিকে অবহিত করলে এ ব্যাপারে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি বলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা আমার ভাগ্নে। তারই পরোক্ষ মদদে সন্ত্রাসীরা রাতের আঁধারে আমার ধান কেটে নিয়েছে। সন্ত্রাসীরা ধান নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি, উল্টো আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, পাশা মিয়া হাওলাদার ও নাশির উদ্দিন হাওলাদার।
অভিযুক্ত ডালিম হাওলাদার ধান কাটা ও প্রাণনাশের হুমকির কথা অস্বীকার করে বলেন, মনিরুজ্জামান বাবুল ও তার লোকজন ধান কেটে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দায় চাপাচ্ছেন। তিনি যে ধান কেটে নিয়েছেন তার বেশ প্রমাণ আছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, ওই জমি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। কিন্তু এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।
আমতলী থানার ওসি আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয় অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।