শাক-সবজিতে ঢেকে গেছে হালদার দুই তীর
চট্টগ্রাম (ফটিকছড়ি) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
শাক-সবজিতে ঢেকে গেছে হালদার দুই তীর। ছবি: যুগান্তর
হালদা নদীর চরে এ বছর শীতকালীন শাক-সবজি চাষে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। শীতকালীন শাক-সবজি সবুজ চাদরে ঢেকে গেছে হালদার দুই তীর। শুষ্ক মৌসুমে নদীর বুকে জেগে ওঠা ছোট-বড় অসংখ্য চরেও করা হয়েছে শাক-সবজির আবাদ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা।
চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সমিতিরহাট, নাজিরহাট পৌরসভা, সুয়াবিল, সুন্দরপুর, হারুয়ালছড়ি, ভুজপুর, নারায়ণহাটসহ হালদা নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে শাক-সবজি চাষ হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এ অঞ্চলের কৃষকরা উৎপাদিত শাক-সবজির মাধ্যমে বাড়িয়ে তুলছেন তাদের আয়। চাষ করা হচ্ছে বেগুন, মুলা, মরিচ, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মিষ্টি কুমড়া, মুলাশাক, লালশাক, পালং শাকসহ বিভিন্ন ধরনের তরকারি। এখানকার শাক-সবজির চাহিদা শুধু স্থানীয় বাজারেই সীমাবদ্ধ নয় বরং চট্টগ্রাম জেলার অন্যান্য এলাকায়ও সরবরাহ করা হচ্ছে।
উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কৃষক দবির মিয়া জানান, ‘এ বছর আমি বাজারে আগাম শাক-সবজি তুলেছি এবং বেশ ভালো দাম পাচ্ছি।’
অন্যদিকে নাইচ্ছারঘাট এলাকার কৃষক নুর হোসেন বলেন, ‘এক একর জমিতে সবজি চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত ১৩০ মণ ফসল পেয়েছি। তাছাড়া জমিতে সার প্রয়োগ করার প্রয়োজন পড়েনি।’
কুম্বারপাড়া এলাকার কৃষক বাদশাহ আলম জানান, ‘এখানে সবজি চাষ করে লাভ বেশি হয়। হালদা নদীর চরাঞ্চলে সবজি চাষে খরচ কম এবং ফলনও ভালো হয়।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন জানান, ‘বর্ষাকালে বন্যার পানিতে জমি তলিয়ে যায়, পরে বিভিন্ন স্থানে পলি জমে। এই পলি মিশ্রিত দোআঁশ মাটি সবজি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ বছর সুন্দরপুর ইউনিয়নে ৭০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে, এতে প্রায় ৪০০ কৃষক লাভবান হবেন।’
এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ এবং বিনামূল্যে বিজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাসানুজ্জামান বলেন, ‘হালদা নদীর চরাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ সবজি উৎপাদিত হয় এবং কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি।