গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক তিন নেতা গ্রেফতার
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
প্রতীকী ছবি
সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুটসহ তিন মামলায় গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি রেজিস্ট্রার ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক ২ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- গোপালগঞ্জের শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী ফারজানা ইসলাম (তন্নী), পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জ সোহেল সিকদার এবং শহর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক শাহানেওয়াজ খান।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান তাদেরকে গ্রেফতারের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকার একটি মামলায় ফারজানা ইসলামকে, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর গাড়ি বহরে হামলা-ভাঙচুর করে নেতাকর্মীদের আহত মামলায় সোহেল সিকদার ও সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুটের মামলায় শাহানেওয়াজকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী স্ত্রী, সন্তান ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী গ্রামের নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ওই দিন বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া তাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গাড়িবহরে এ হামলা করে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এতে কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলি দিদার নিহত হন। এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর নিহত দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে ১ হাজার ৬১৭ জনকে আসামি করে মামলা দেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর জিলানীর ছোট ভাই হায়দার আলি বাদী হয়ে ১ হাজার ৬৬৬ জনকে আসামি করে গাড়ি ভাঙচুরের মামলা করেন। হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩২ জন, গাড়ি ভাঙচুর মামলায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অপরদিকে গত ১০ আগস্ট বিকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এ সময় তারা সেনাবাহিনীর টহলরত গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে এবং অস্ত্র লুটে নেয়।
এ ঘটনায় ২২ আগস্ট ১০ বেঙ্গল রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাকসুদুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় ৩ হাজার ৩০৬ জন আসামি করে মামলা দেন। মামলায় এখন পর্যন্ত ৯৪ জনকে গ্রেফতার করছেন পুলিশ।