বিউটি পার্লারে কাজ দেওয়ার নামে ভারতে পাচারকালে ২ তরুণী উদ্ধার
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
ভারতে বিউটি পার্লারে কাজ দেওয়ার নামে প্রলোভন দেখিয়ে দুই তরুণীকে ভারতে পাচারের সময় উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মো. শাহিন হোসেন (২৪) নামের পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি।
সোমবার ভোর ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার জয়নগর সীমান্ত থেকে ওই দুই তরুণীকে উদ্ধার ও পাচারকারীকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় দর্শনা থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে নারী পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার এক তরুণী ও গোপালগঞ্জ জেলার এক তরুণীকে ভারতে বিউটি পার্লারের কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লালটু (৩০) নামের এক যুবক তাদের বৃহস্পতিবার দুপুরে খালিশপুরে নিয়ে আসে। শুক্রবার রাতে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা সীমান্তবর্তী জয়নগর গ্রামের মো. মুহিদুল ইসলামের ছেলে মো. শহিন হোসেনের হাতে তুলে দেয় লালটু।
পরে সীমান্তবর্তী জয়নগর গ্রামের রাতের আঁধারে ভারত মানবপাচার করা সিন্ডিকেট সদস্য জয়নগর গ্রামে মো. শাহিন হোসেন (২৪) রাশেদ (৩০), মো. সোহেল (২৬), শরিফুল ইসলাম আজেরসহ (২২) অজ্ঞাত ৭-৮ জন তাদেরকে জয়নগর গ্রামে একটি বাড়িতে নিয়ে রাখে। সোমবার ভোর ৩টার দিকে মানবপাচার সিন্ডিকেটের হোত মো. শাহিনের নেতৃত্বে অন্যান্য পাচারকারীরা দর্শনা জয়নগর সীমান্তের ৭৫/৩ নম্বর মেইন পিলারের ২০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে।
এ সময় জয়নগর সীমান্তে টহলরত দর্শনা কোম্পানি সদর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক জিয়াউর রহমান, ল্যান্সনায়েক পলাশ, মো. ফয়সাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের ধাওয়া করে দুই তরুণীসহ মো. শাহিন হোসেনকে আটক করে।
দর্শনা থানার ওসি মুহাম্মদ শহিদ তিতুমীর বলেন, দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করার সময় দুই নারীসহ এক পাচারকারী আটক করে বিজিবি। সন্ধ্যায় এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে একটি মামলা হয়েছে।
ওসি জানান, মানবপাচারকারী শাহিন হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তিনি পলাতক আসামিদের সহায়তায় পরস্পর যোগসাজশে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া টপকিয়ে বা ছিঁড়ে বাংলাদেশ হতে ওই দুই তরুণীকে ভারতে পাচার করবে বলে সীমান্ত নিয়ে যায়। ভারতে বিভিন্ন জুয়ার ক্যাসিনো, মদের বার, আবাসিক হোটেল, পতিতালয়ে কাজের উদ্দেশ্যে পাচার করছিল বলে স্বীকার করে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।