আন্দোলনে চোখ হারানো স্ত্রীর তালাক দেওয়া সেই সাইদুল পেলেন রিকশা
দশমিনা ও দক্ষিণ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম
জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলির স্প্লিন্টারে চোখ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা পটুয়াখালীর দশমিনার সেই যুবক মো. সাইদুল ইসলাম ব্যাটারিচালিত রিকশা উপহার পেয়েছেন। আন্দোলনে চোখ হারানোর পর সাইদুলকে তালাক দিয়ে চলে যান স্ত্রী।
এ নিয়ে যুগান্তর অনলাইন সংস্করণে ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর প্রিন্ট সংস্করণে সংবাদ প্রকাশের পর অসহায় সাইদুলের কপালে জোটে ব্যাটারিচালিত একটি রিকশা।
সাইদুল উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ মৃধার ছেলে। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সাইদুল সবার বড়। আন্দোলনে আহত মানবেতর জীবনযাপন করা সাইদুলকে তার খারাপ মুহূর্তে স্ত্রী পান্না আক্তার তাকে তালাক দিয়ে দেড় বছরের একমাত্র মেয়ে সুমাইয়াকে নিয়ে চলে যান।
সাইদুল ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে সামিল হন তিনি। ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অবস্থানের সময় চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশতাধিক স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। নষ্ট হয়ে যায় বাম চোখ। গ্রামে ফিরে অভাব-অনটন পিছু না ছাড়া এই যুবককে নিয়ে যুগান্তরসহ একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে ঢাকার কয়েকজন হৃদয়বান সংবাদ পাঠক সাইদুলকে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সোমবার পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহরাব হোসেনের মাধ্যমে সাইদুলকে নতুন একটি রিকশা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। নতুন রিকশা পাওয়ার পর মো. সাইদুল ইসলাম যারা নতুন রিকশা দিয়ে তার জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে যেসব সাংবাদিক তার জন্য লিখেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।