Logo
Logo
×

সারাদেশ

সেই কারখানা থেকে দগ্ধ আরও একজনের লাশ উদ্ধার , নিহত বেড়ে ৩

Icon

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম

সেই কারখানা থেকে দগ্ধ আরও একজনের লাশ উদ্ধার , নিহত বেড়ে ৩

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া বোতাম তৈরির কারখানা থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার সকালে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার সকালে কারখানা থেকে একজনের লাশ উদ্ধারের তথ্য জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানাতে হবে।

নিহত তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় জানিয়েছেন ওসি। তিনি বলেন, আগুন তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মজলুম মিয়া, বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়। পিতার নাম বাবলু মিয়া।

এদিকে রোববার রাতে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন দুইজনের লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছিলেন, রোববার রাত পর্যন্ত দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ দুইটি আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে গিয়েছে। তাই লাশ দুটোর পরিচয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ধারণা করছি, প্রথম দিকে যে বিস্ফোরণ হয়েছে তখনই তাদের মৃত্যু হতে পারে।

রোববার দুপুর দেড়টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামের এম অ্যান্ড ইউ ট্রিমস্ লিমিটেড নামের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে হঠাৎ করে কারখানার কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তেই বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়। কারখানার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি শুরু করে। কারখানার আশপাশের বসত বাড়ির লোকজন তাদের আসবাবপত্রসহ ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র বাইরে নিরাপদ নিয়ে আসতে থাকে। মুর্হুমুহ বিস্ফোরণে আশপাশে প্রকম্পিত হয়ে উঠে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, দুপুর ১টার ৪০মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনে প্রথমে আগুন ম্যাসেজ দেওয়া হয়। ১টা ৫৬ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। যেহেতু কেমিক্যাল ড্রামে বিস্ফোরণের খবর ছিল তাই গাজীপুর চৌরাস্তা মডার্ণ ফায়ার স্টেশনের তিনটি, রাজেন্দ্রপুর মডার্ণ ফায়ার স্টেশনের দুটিসহ পাঁচটি ইউনিট ডাকা হয়। সব মিলিয়ে মোট সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় আড়াই ঘন্টার চেষ্টার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখানে প্রচুর কেমিক্যালের ড্রাম ছিল, আগুনের তাপে ড্রামগুলো ফুলে যাচ্ছিল। সেখান থেকে প্রচুর বিস্ফোরণ হচ্ছিল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম