নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
নরসিংদীর মেহেরপাড়ায় এক ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার রাত ১২টায় পাঁচদোনা মেহেরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তার নাম হুমায়ুন কবির। তিনি মেহেরপাড়া ইউনিয়নের নাগরারহাট এলাকার একরামুল হকের ছেলে। তিনি মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য।
হুমায়ুনের স্বজনরা জানিয়েছেন, আধিপত্য ও জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একই এলাকার বাদল মিয়া, শাহ আলম ও আতাউর মেম্বারের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে তাদের মধ্যে একাধিক মামলা-মোকদ্দমার ঘটনা ঘটে। রাতে হুমায়ুন বাড়ির পাশের আঙিনায় ব্যাডমিন্টন খেলছিল। দুইটি মোটরসাইকেলে শাহ আলম, টিপুসহ ৪ জন আসে। তারা হুমায়ুনকে ডেকে পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ত মসজিদের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তার বুকে-পিঠে ও ঘাড়ে পরপর ৩টি গুলি করে। এ সময় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুলির শব্দ শুনে খেলার মাঠ থেকে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় হুমায়ুনকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হুমায়ুনের বন্ধু ও মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্মসম্পাদক সুজন ভ‚ইয়া বলেন, স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল হুমায়ুনের। তার নেতৃত্বেই পাঁচদোনা মেহেরপাড়া ও মাদবদী আন্দোলন হয়েছিল। এসব ঘটনা নিয়ে সে এলাকার অনেকের রোষানলে পড়ে। এসবের জেরে তার বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে সে পালিয়ে ছিল। ৫ আগস্টের পর এলাকায় আসে। মোটরসাইকেলে আসা চারজনের মধ্যে দুইজনকে চেনা গেছে।
হুমায়ুনের বড় ভাই আল মামুন বলেন, আমাদের ১৭ শতাংশ জমি দখল করে বাদল মিয়ারা। পরে মামলার রায় পাওয়ার পর আমার জামিটি দখলে নেয়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে দ্ব›দ্ব তৈরি হয়। এরই জেরে তারা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। এছাড়া স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে তার সক্রিয় ভ‚মিকা ছিল। এসব নিয়ে অনেকে তাকে দমানোর চেষ্টা করছিল।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কোনো পূর্বশত্রুতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।