শিবালয়ে যমুনায় অবৈধ বালু উত্তোলন
বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি আবাদি জমি, ঝুঁকিতে বিদ্যুৎ টাওয়ার

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীতে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ৩৩ কেভি জাতীয় গ্রিডের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন টাওয়ার। ভাঙনে পড়ে ইতোমধ্যে বাড়িঘরসহ কয়েকশ একর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে গ্রামটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে ওই দাবি জানান তারা।
ভুক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তৃতায় মো. জামাল হোসেন বলেন, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলাধীন তেওতা ইউনিয়নের অন্তর্গত আলোকদিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে যমুনা নদী। এই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি অসাধুচক্র। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন মানিকগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার। এই এলাকায় সরকারিভাবে কোনো বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রাতদিন যমুনা থেকে ১২ ইঞ্চি পাইপের ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় আলোকদিয়া গ্রাম নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। এরই মধ্যে হুমকির মুখে পড়েছে জাতীয় গ্রিডের ৩৩ হাজার কিলো ভোল্টের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন, স্থানীয়ভাবে যা ‘তারখাম্ব’ নামে পরিচিত। টাওয়ারের তলদেশ থেকে মাটি সরে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও গ্রামটিকে রক্ষার আকুল আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে মো. রাজু আহমেদ, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. মুক্তার হোসেন, মো. সামসু মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।