লাকসামে সরকারি খালের মাটি হরিলুট
লাকসাম-মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ এএম
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার অশ্বদিয়া সরকারি খালের মাটি হরিলুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিদিন প্রায় ৪-৫টি এক্সেভেটর দিয়ে মাটি তুলে সেই মাটি ট্রাক্টরের মাধ্যমে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট।
উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়ন অশ্বদিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিজরা-নোয়াপাড়া সরকারি খাল পাড়ের মাটি কেটে কৃষি জমিতে বড় বড় মাটির স্তূপ তৈরি করা হয়েছে।
জানা গেছে- সরকারি অর্থায়নে গত দুই বছর আগে খাল খনন করে এই মাটিগুলো উত্তোলন করা হয়েছে। যা গত চারদিন ধরে অবৈধভাবে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে এই সিন্ডিকেটটি। গাড়িপ্রতি (ট্রাক্টর) ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ টাকায় বিভিন্ন ইটভাটায় ও স্থানীয় প্রভাবশালীর বসতবাড়িতে বিক্রয় করছেন তারা।
স্থানীয়রা বলেছেন, বাকই গ্রামের লালু মিয়ার নেতৃত্বে ও পলুয়া গ্রামের জাফর এবং তারাপুর গ্রামের আক্তারের সহযোগিতায় খালের পাড়ের মাটি হরিলুটের মাধ্যমে বিক্রি করে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বসতবাড়ি ও পুকুর ডোবা ভরাট করছে তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালু মিয়া বলেন, আমার একক নেতৃত্বে মাটি নিচ্ছি এ কথা সঠিক নয়! আমার মত আরও কয়েকজন ব্যক্তি এক্সকেভেটরের মাধ্যমে খাল পাড়ের মাটি কেটে নিচ্ছে। আমি খালপাড়ের জমির মালিকদের মাটি কাটছি এবং তাদের বাড়িতে নিচ্ছি এতে কোনো দোষের কিছু নয়- এ নিয়ে কারও কাছে জবাবদিহি করতে হবে?
অভিযুক্ত আক্তার মিয়া বলেন, আমি মাটি কাটার জন্য কোনো সহযোগিতা করেনি বরং তারা খাল খননের মাটি যে যার মতো করে কয়েকটি ট্রাক্টরের মাধ্যমে বাড়িতে নিচ্ছে। এতে করে কৃষি জমি ও সড়ক ভেঙে ফেলছে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর। আমি বাঁধা দিলে তারা বলে বিএনপি করি কিছু না করলে কর্মী চালাব কীভাবে।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ শনিবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, খাল খননের মাটি এক্সকেভেটরের মাধ্যমে নিয়ে যাচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে শনিবার বিকালে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। এসময় খননকারী ও ট্রাক্টরের চালক পালিয়ে যায়। আমরা ৪টি ট্রাক্টর জব্দ করি। পরবর্তীতে খননকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।