কনসার্টে নাচানাচি নিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় ১৫ পরীক্ষার্থী আহত
গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম
গোপালপুরে কনসার্টে নাচানাচি নিয়ে বিতর্ক ও মারামারির জেরে পালটা হামলায় শিক্ষকসহ ১৫ পরীক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে গুরুতর আহত তিন পরীক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন পাওয়া যায়।
হেমনগর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজ আলম জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বালোবাড়ী গ্রামের স্কুল মাঠে স্থানীয় যুবকরা কনসার্টের আয়োজন করেন। সেখানে নাচানাচি নিয়ে বিতর্কের জেরে তিন যুবক আহত হন। প্রতিশোধ হিসেবে বৃহস্পতিবার পারটা হামলার ঘটনা ঘটে। তবে পরীক্ষার্থীদের ওপর হামলা সমর্থনযোগ্য নয়, এখনো কেউ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
হেমনগর শশীমুখী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার তার স্কুলের ১৬৫ জন পরীক্ষার্থী নারুচী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গণিত বিষয়ে পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা শেষে হল থেকে বেরিয়ে মূল সড়কে আসামাত্র গুলিপেচা, অর্জুনা ও নলিন গ্রামের দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুজন শিক্ষকও আহত হন।
আহত শিক্ষার্থী আলফি আহমেদ স্মরণ, ইসমাইল হোসেন ও রিজভী হাসান রাফী অভিযোগ করেন, কনসার্টের দিন যারা মারামারি করেছিল তাদের না পেয়ে বালোবাড়ী ও এর আশপাশের কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা আমাদের বেদম পিটুনি দিয়েছেন। আহত কয়েক পরীক্ষার্থী প্রাণ বাঁচানোর জন্য কলেজের অফিস কক্ষে আশ্রয় নিতে গেলে কলেজ প্রশাসন তাদের আশ্রয় দেয়নি। কয়েকজন হাতে আঘাত পাওয়ায় পরবর্তী পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
অভিভাবক আফরীন জাহান জানান, গ্রামবাসীর এসব ফ্যাসাদে নিরীহ শিক্ষার্থীদের তো দোষ ছিল না। তাহলে কেন তাদের ওপর পৈশাচিক হামলা হলো। তিনি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
নারুচী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহনাজ আকতার জানান, দুই গ্রুপই একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থক। কিন্তু এর জেরে নিরীহ পরীক্ষার্থীদের ওপর হামলা নিন্দনীয়। ঘটনাটি ঘটেছে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে। আহতদের কলেজ অফিসে আশ্রয় দেওয়ার চেয়ে হাসপাতালে পাঠানো জরুরি ছিল। তিনি পুলিশ ডেকে সেটাই করেছেন।