Logo
Logo
×

সারাদেশ

পারল না ‘জিন’, তিন দিন পর বাঙালি নদীতে ভেসে উঠল গৃহবধূর লাশ

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ পিএম

পারল না ‘জিন’, তিন দিন পর বাঙালি নদীতে ভেসে উঠল গৃহবধূর লাশ

বগুড়ার ধুনটে বাঙালি নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ গৃহবধূ আয়েশা খাতুনের (২০) মরদেহ অবশেষে পাওয়া গেছে। ঘটনার তিন দিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারীর ঝাঁঝড় ঘাট এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে কবিরাজ এনে জিনের মাধ্যমে ওই গৃহবধূকে জীবিত বা তার লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়; কিন্তু এক নারীর মাধ্যমে জিন হাজির করলেও ওই গৃহবধূকে জীবিত বা তার লাশ উদ্ধার করতে পারেনি।

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম জানান, মরদেহ বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মৃত গৃহবধূ আয়েশা খাতুন বগুড়ার ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের বিলচাপড়ী গ্রামের আবু বক্করের স্ত্রী। তিনি গত ১৬ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির পাশে বাঙালি নদীতে গোসল করতে যান। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় স্বামী নদী পাড়ে গিয়ে তার স্যান্ডেল দেখতে পান। গ্রামবাসীরা নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আয়েশার সন্ধান পাননি। খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে নেমে উদ্ধার অভিযান চালান। সফল না হওয়ায় তারা ফিরে যান।

এদিকে পর দিন মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যরা রফিকুল ইসলাম নামে এক কবিরাজকে ডেকে আনেন। তিনি গৃহবধূ নিখোঁজ হওয়া স্থানে আসন পেতে বসেন। তার নির্দেশে স্বজনরা দেশি মুরগির সাতটি ডিম ও এক লিটার গরুর দুধ নদীতে ফেলেন। এরপর নদীর তীরে গর্ত খুঁড়ে সেখানে গরুর গোবর রাখেন। সঙ্গে নিয়ে আসা এক নারীর শরীরে জিন হাজির করেন। জনগণের সামনে ওই নারীর কণ্ঠে জিন জবাব দেয়- পরদিন সন্ধ্যার আগে আয়েশা খাতুনের মরদেহ ফেরত দেবে। কবিরাজ এমন তথ্য সবাইকে দিয়ে তার ফিস নিয়ে চলে যান।

বুধবার সন্ধ্যার আগে শত শত নারী-পুরুষ নদীর তীরে ভিড় করলেও আশেয়াকে জীবিত বা মৃত পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিনি কিলোমিটার দক্ষিণে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের ঝাঁঝড় ঘাট এলাকায় নদীতে তার লাশ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে হত্যা মামলা হবে। আপাতত থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম