ধান লুটের অভিযোগে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে রাখাইন নারীর সংবাদ সম্মেলন
যুগান্তর প্রতিবেদন, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় লুমা রাখাইন নামের এক রাখাইন নারীর সাড়ে ৭ একর সম্পত্তির প্রায় ২৫০ মণ ধান লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মহিপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. আলী আক্কাসের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিএনপি নেতাদের অবগত করে বিচারের দাবিতে কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্য ওই উপজাতি নারী বলেন, আমার বাবার কাছ থেকে পাওয়া এবং আমার ভাইয়ের কাছ থেকে ক্রয় করা ৭ একর ১৮ শতক কৃষিজমি আমি আজীবন ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ করে মহিপুর থানা বিএনপি নেতা আলী আক্কাস ওই সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করে আসছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে ওই বিএনপি নেতার যোগসাজশে এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, সর্বশেষ গত ১৭ ডিসেম্বর বিকালে আমার জমিতে আমার বর্গাচাষি ধান কাটা শুরু করলে ওই বিএনপি নেতার নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ধাওয়া করে খেতের ধানগুলো লুট করে নিয়ে যায়।
লিখিত বক্তব্য লুমা রাখাইন আরও বলেন, বাবা জীবিত থাকাকালে পুরো সম্পত্তি স্থানীয় মংফরম তালুকদারের কাছে মৌখিকভাবে বিক্রি করে, যা রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করার আগেই আমার বাবা মৃত্যুবরণ করেন। এমবতাস্থায় আমি মংচিং কবিরাজের মেয়ে লুমা রাখাইনের আর কোনো সম্পত্তি না থাকায় বাবার নেওয়া পুরো টাকা মংফরম তালুকদার ফেরত দিয়ে পুরো সম্পত্তি ফেরত নেই। এ বিষয়টি কলাপাড়া সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে এফিডেভিট করে নিয়ে আসি ২০০৪ সালে। পরবর্তীতে এই সম্পত্তির বিএস আমার নামে এবং নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছি। আমার বাবার আরও এক ছেলে থাকায় আমার আপন ভাই এমংচি ওরফে ইয়াইমংচিং প্রায় ৪৫ বছর পার্শ্ববর্তী দেশ বার্মা থাকার পরে ২০১০ সালে দেশে ফিরে এলে তার ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া সম্পত্তি ২.৪০ একর সম্পত্তি ফেরত দেই এবং পরবর্তীতে তিনি পুনরায় আমাকে সাবকবলা দলিলে হস্তান্তর করেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতা মো. আলী আক্কাস। তার দাবি, দলের মধ্যে একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
এ বিষয়ে মহিপুর থানা যুবদলের আহবায়ক মো. সিদ্দিক মোল্লা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দলের যে কারো বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।