খুলনার ডুমুরিয়ার বরুনা গ্রামে নাবালিকা বধূর বিবাহের কাবিননামা উধাও করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে জনৈক হাবিবুর রহমান ওই মেয়ের বিবাহ পড়ালেও তিনি তা অস্বীকার করেছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলার বরুনা গ্রামের রফিকুল বাওয়ালীর মেয়ে খাদিজা খাতুন। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছেন। তার জন্ম ২০০৭ সালের ৩০ মে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েটির আনুষ্ঠানিকভাবে সোমবার বিয়ে হয় টোলনা গ্রামের রাসেল বিশ্বাসের সঙ্গে।
বিবাহ রেজিস্ট্রার আনোয়ারুল আজিমের সহকারী হাবিবুর রহমান বিশ্বাস বর-কনে ও সাক্ষীদের সই নিয়ে বিয়ে পড়ান।
পর দিন হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের সামনে বলেন, বিয়ে পড়াতে গিয়েছিলাম কিন্তু পড়াইনি।
বাড়ির পাশের সাবেক ব্যাংক ম্যানেজার আ. সবুর বলেন, বয়স কম থাকায় খোলা পৃষ্ঠায় বিয়ে রেজিস্ট্রি করেছেন। কন্যা খাদিজা খাতুন বিবাহে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানান। সোমবার বিবাহ সম্পন্ন হলে খাদিজা শ্বশুরবাড়িতে চলে যান।
এদিকে ওই বিবাহ রেজিস্ট্রার সহকারী হাবিবুর রহমান ২০১৬ সালে বিবাহ পড়ালেও আজও বিয়ের কাবিননামার নকল কপি পাননি টোলনা গ্রামের সিদ্দিক বিশ্বাসের মেয়ে ৬ বছর বয়সের ছেলের মা ছনিয়া খাতুন। আদালতে মামলা চলার কারণে বারবার নকল পেতে হাবিবুরের কাছে ধরনা দিয়েও তা পাচ্ছেন না।
অবশেষে গত ১০ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন ছনিয়া। আগামী ২৩ ডিসেম্বর শুনানির দিন রয়েছে বলে ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়।
ধামালিয়াব ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জহুরুল হক বলেন, খোলাপাতায় তারা (হুজুররা) বিবাহ পড়ান। গণ্ডগোল হলে বিবাহ অস্বীকার করেন; নকলও দেয় না। এদের শাস্তি হওয়া উচিত।