স্থলবন্দরের ব্যবসায় সব সহযোগিতা করা হবে: নৌপরিবহণ উপদেষ্টা
গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ পিএম
নৌপরিবহণ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ যেহেতু রাজনীতি করে না, তাই সংস্কার শেষে নির্বাচন করার ম্যান্ডেট আছে। তবে সময় হলে সব পরিষ্কার হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে নৌপরিবহণ উপদেষ্টা বলেন, সবাই মনে করে নির্বাচন নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার করবে অথবা নতুন কাউকে যুক্ত করা হবে; তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইনে যে সময় সীমা আছে তা কিভাবে সমাধান হবে তা একটি বিষয়। তবে এখনো এ বিষয়ে হাত দিবে না বর্তমান সরকার। তামাবিল স্থলবন্দরের ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
তিনি বলেন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্টে ব্যাংক প্রজেক্টের মধ্যে আছে যাত্রী ছাউনি, ফায়ার ব্রিগেড, সিএনফের জন্য বসার জায়গা, ইউনিয়নের জন্য জায়গা। এগুলোর স্থায়ী সমাধানে কাজ চলছে। অনেক বড় একটি ইয়ার্ড হয়েছে। এটা হয়তো আরেকটু স্পেস বাড়বে। একটা প্রসেস আছে। আমরা চেষ্টা করছি, প্রসেসটা দ্রুত উত্তোরনের জন্য। প্রজেক্টগুলো হয়ে গেলে অনেক সমস্যা দূর হবে।
বুধবার দুপুরে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বেলা ১১টার দিকে তামাবিল স্থলবন্দরে পৌঁছে প্রশাসনিক ভবন, তামাবিল ইমিগ্রেশন, বধ্যভূমি ও স্থলবন্দরের পণ্য পরিমাপ স্কেল পরিদর্শন করেন। পরে প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ স্থলবন্দর আয়োজিত তামাবিল স্থলবন্দরের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান, গোয়াইনঘাটের ইউএনও তৌহিদুল ইসলাম, তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানসহ তামাবিল পাথর আমদানিকারক গ্রুপের নেতারা।
মতবিনিময় সভায় তামাবিল পাথর আমদানিকারক গ্রুপের পক্ষ থেকে আমদানি করা পাথরে ওজনে যৌক্তিক ছাড়, লেবার হ্যান্ডেলিং, ইয়ার্ড ব্যবহারে অতিরিক্ত ট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা, বন্ড এরিয়া বৃদ্ধি ও স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে নৌপরিবহণ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে দাবি জানান।