Logo
Logo
×

সারাদেশ

বড়াইগ্রামে এক রাতে ১৩ সেচযন্ত্র চুরি

Icon

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম

বড়াইগ্রামে এক রাতে ১৩ সেচযন্ত্র চুরি

নাটোরের বড়াইগ্রামে এক রাতে কৃষকের জমিতে সেচ দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ডিজেল চালিত ১৩টি সেচযন্ত্র চুরি হয়েছে। এতে স্থানীয় গড়মাটি বিলের প্রায় তিনশ বিঘা জমির ফসল আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এর মাত্র এক সপ্তাহ আগে বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের রোলভা বিল থেকেও আটটি সেচযন্ত্র চুরি হয়। 

বুধবার এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ইউএনও এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ করেছেন। 

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় সংঘবদ্ধ চোরের দল উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গড়মাটি বিল থেকে ওই গ্রামের কৃষক আহসানুল আমিন, নঈম উদ্দিন, মোজাম্মেল হোসেন, খালেদ হোসেন, শহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মিলন হোসেন, সাইদুল ইসলাম, রনি, আরমান মোল্লা, মিজানুর রহমান ও ইয়ার আলীর মোট ১৩টি শ্যালোমেশিন চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। 

গড়মাটি গ্রামের খালেদ হোসেন জানান, শ্যালোমেশিনে সেচ দিয়ে তারা যুগ যুগ ধরে ফসল আবাদ করে আসছেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকে আনা নেওয়ার সমস্যার কারণে তারা মেশিনগুলো বস্তা দিয়ে ঢেকে বিলেই রেখে আসতেন। এর আগে এ বিলে কখনো এমন চুরি হয়নি। মেশিনগুলোর মধ্যে নতুনগুলোর একেকটি ২০-২৫ হাজার এবং পুরাতনগুলোর একেকটির দাম ১০-১৫ হাজার টাকা। চাষাবাদের ভরা মৌসুমে এমন চুরির ঘটনায় দরিদ্র কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। 

আহসানুল আমিন বলেন, মঙ্গলবার রাতেও আমি শ্যালোমেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিয়েছি। রাতে আমাদের বিল থেকে ১৩টি মেশিন চুরি করে নিয়ে গেছে। এ থানায় লিখিত অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। 

আলমগীর হোসেন বলেন, এতে প্রায় ৩০০ বিঘার জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব জমিতে রসুন, গম, ভুট্টাসহ চৈতালি ফসল রয়েছে।

ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, গড়মাটি গ্রামের ১২ জন কৃষকের মোট ১৩ টি সেচযন্ত্র চুরির খবর পেয়েছি। তাছাড়া দ্রুত চোরদের শনাক্ত করে সেচযন্ত্রগুলো উদ্ধার করতে পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তাছাড়া ওই সব কৃষকদেরকে সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্র দেওয়াসহ কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। 

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে চোর চক্রকে ধরতে আমরা মাঠে নেমেছি। অল্প সময়ের মধ্যেই চোরদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে আশা করি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম