পাম্পের ট্যাংকিতে শিশুর লাশ, বিস্ফোরণে দমকল কর্মী-পুলিশসহ আহত ৮
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে হাসাড়া ফিলিং স্টেশনের পরিত্যক্ত তেলের ট্যাংকির ভিতর থেকে জুনায়েত (১২) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময়ে ট্যাংকিতে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিস কর্মী, পুলিশসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা থেকে আগত ফায়ার সার্ভিসের স্পেশাল টিমের সদস্যরা কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে হাসাড়া ফিলিং স্টেশনের ট্যাংকি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত জুনায়েদ শ্রীনগর উপজেলার হাসাড়া নয়াপাড়া এলাকার নুর হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, হাঁসাড়া গ্রামের মোহাম্মদ মানিক ও আরেক ভাই হাসাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাব্বির আহমেদ নাসিমের মালিকানাধীন ফিলিং স্টেশনটি প্রায় ১ মাস ধরে বন্ধ ছিল। এটি পুনরায় চালু করার জন্য ট্যাংকটি পরিষ্কারের কাজ চলছিল। কিন্তু কি কারণে এর মুখ খোলা রাখা হয়েছিল তা কেউ বরতে পারছে না। সেখানে আলমপুরের রাহাত (১২) নামে এক ছেলে কাজ করত। রাহাতের সঙ্গে জুনায়েত এসে প্রায় খেলা করত। রোববার রাত ৯টার দিকে ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে শ্রীনগর থানার পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ করার সময় রাত ১০টার দিকে ট্যাংকিতে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে রাসেল (২২), রফিক (২৮) ও শ্রীনগর থানার এসআই মোয়াজ্জেম হোসেনসহ স্থানীয় ৮ জন আহত হয়।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর আবুল কাল আজাদ জানান, তেলের ট্যাংকিতে শিশুর মরদেহের খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। তবে ট্যাংকিতে প্রচুর গ্যাস জমে থাকায় ব্যাহত হয় তৎপরতা। রাত ১০টার দিকে বিস্ফোরণে কয়েকজন আহত হয়। পরে আবারো চেষ্টায় শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফিলিং স্টেশনের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাউয়ুম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, জুনায়েতের মরদেহ পাওয়া গেলেও রাহাতকে এখনো পাওয়া যায়নি। মৃতদেহটি সেখানে গেল কিভাবে এবং কি ঘটেছিল সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।