মারাই গেল ধর্ষণে চোখ হারানো সেই ছাত্রী
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
ধর্ষকের বিচারের আকুতি নিয়েই অবশেষে মারা গেল ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের মাদ্রাসাছাত্রী। সোমবার সকালে নিজ বাড়িতে সে মারা যায়। দীর্ঘ তিন মাস ধর্ষকের হাতে নির্যাতনে প্রথমে তার ডান চোখ হারায় ছাত্রীটি। পরে অর্থাভাবে চিকিৎসা না করার কারণে অবশেষে প্রাণ হারায়।
মা-বাবার কাছে ফ্রিজে রাখা ওই ছাত্রীর হারানো চোখের কর্নিয়াই এখন মেয়ের একমাত্র স্মৃতি। ধর্ষকের বিচার চেয়ে বিচার না পেয়ে মা-বাবা এখন মেয়েকে হারিয়ে দিশেহারা।
ধর্ষণে অভিযুক্ত মো. হোসাইন সিংরইল ইউনিয়নের কুচুরী চরপাড়ার হানিফ মিয়ার ছেলে। সে বাকচান্দা আব্দুস সামাদ একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্র। হোসাইন ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত। একপর্যায়ে ১ জুন প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় ছাত্রীটিকে দলবলসহ উঠিয়ে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যায় হোসাইন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে থানায় গিয়ে কোনো ধরনের আইনি সহায়তা পায়নি ছাত্রীর পরিবার এবং তার সন্ধানও পায়নি। ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে ছাত্রীকে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় হোসাইন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ময়মনসিংহ এবং পরে ঢাকার আগারগাঁও চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। সেখানে বাম চোখ বাঁচাতে আঘাতপ্রাপ্ত ডান চোখটি ওঠিয়ে ফেলা হয়। যা বর্তমানে ছাত্রীর বাড়ির ফ্রিজে সংরক্ষিত আছে। নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হলেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ আহম্মেদ বলেন, আমরা মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণের ব্যবস্থা করেছি।