মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার পিরোজপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্রদের ওপর দুদফায় দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মূসা খানসহ গণিত বিভাগের ছাত্র মো. ইসতিয়াক ও তৌহিদ খলিফাসহ অন্তত ৫-৬ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার সকালে শহরের বলেশ্বর নদের তীরে অবস্থিত শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ব্যানার ও পুষ্পমাল্য নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অপেক্ষারত ছিলেন তারা। এ সময় কতিপয় লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলাসহ তাদের ব্যানার, পুষ্পমাল্য ও মাথার ক্যাপ ছিনিয়ে নেয়। এ অবস্থায় কিছুটা বিশৃঙ্খলা শুরু হলে জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনসহ প্রশাসনের লোকজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। এ ঘটনায় জেলা শ্রমিক দলের ৪ সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম উদ্বিগ্ন হয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, সকালে আমরা যখন সুসজ্জিত হয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে যাই এসময় আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই কতিপয় লোকজন আমাদের ব্যানার, পুষ্পমাল্য ও মাথার ক্যাপ ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং অশ্লীল মন্তব্য ছোড়েন। এক পর্যায়ে মাল্যদান শেষে আমরা সকালের নাস্তার জন্য প্রক্টর, শিক্ষক ও ছাত্ররা টাউন ক্লাব সড়কের নীরব হোটেলে আসি।

ভিসি আরও জানান, মাল্যদান শেষ করে শ্রমিক দলের একটি খণ্ড মিছিল স্লোগান দিয়ে আমাদেরকে লক্ষ্য করে হোটেলে প্রবেশ করে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায়। হামলায় আমাদের প্রক্টরসহ ৫-৭ জন ছাত্র আহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে সদর থানায় ভিসি ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে এ প্রতিনিধিকে আশ্বস্ত করেছেন।

এদিকে জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন টিপু উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ৪ জন শ্রমিক দলের নেতা ও সদস্যকে বহিষ্কারের কথা স্বীকার করেছেন। তারা হলেন- পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি রাজ্জাক ফকির, পৌর সহ-প্রচার সম্পাদক বাদশা সেখ, সোহাগ সেখ ও সদস্য মো. মোস্তফা।