Logo
Logo
×

সারাদেশ

চুনারুঘাটে ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগে ওসিকে বদলি

Icon

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ পিএম

চুনারুঘাটে ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগে ওসিকে বদলি

প্রবাসীকে মামলার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। 

রোববার পুলিশ সদর দপ্তরের এক চিঠিতে তাকে ময়মনসিংহের পুলিশ সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়। তিনি গত ২০ অক্টোবর চুনারুঘাট থানায় যোগদান করেছিলেন।

হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (চুনারুঘাট- মাধবপুর সার্কেল) একেএম সালিমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোবরখলা গ্রামের বাসিন্দা ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সুজাতুল হক ভূঁইয়া গত ২৬ নভেম্বর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগের দিন ওসি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সুজাতুলকে থানায় এসে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ওসি ফোনে বলেন, সুজাতুলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আছে। তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এসব শুনে সুজাতুল তার এক আত্মীয়কে থানায় পাঠান। তখন ওসি ওই ব্যক্তিকে বলেন- তাদের খুশি না করে চুপিচুপি বিদেশ যাবেন, তা মেনে নেওয়া যাবে না। এ কথা শুনে সুজাতুল ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন ওসি দুই লাখ টাকা উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ওরফে কবির মিয়ার কাছে দিতে বলেন। ওসির কথামতো সুজাতুল তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের এক লোককে দিয়ে দুই লাখ টাকা দেন কবির মিয়ার কাছে।

এদিকে সুজাতুল হক যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে ২ ডিসেম্বর পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক চুনারুঘাট থানার ওসির কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চান। তখন ওসি তাকে বলেন, দেলোয়ার তার নাম ভাঙিয়ে এ টাকা নিয়ে থাকতে পারেন। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ৭ ডিসেম্বর রাতে দেলোয়ারকে তার বাড়ি থেকে আটক করে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। তবে পুলিশ তাকে চাঁদাবাজির অভিযোগ না দিয়ে পরদিন হবিগঞ্জ আদালতে ৫৪ ধারায় হাজির করে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

অপরদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহিদুল ‍মুন্সিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে সেই তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা হয়নি। এমন অবস্থায় ওসি নজরুল ইসলামকে ময়মনসিংহের পুলিশ সার্ভিস সেন্টারে বদলি করা হয়। 

এ বিষয়ে সুজাতুল হক মোবাইল ফোনে বলেন, ‘বদলি তো শাস্তি হতে পারে না। আমি ওসির শাস্তি দাবি করছি।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম