Logo
Logo
×

সারাদেশ

থানায় সালিসে গিয়ে হত্যা মামলায় আইনজীবী গ্রেফতার

Icon

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম

থানায় সালিসে গিয়ে হত্যা মামলায় আইনজীবী গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানায় একটি সালিসে গিয়ে হত্যা মামলায় জাবেদ হোসেন মনোয়ার নামে এক আইনজীবী গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর আদালতের আইনজীবী। 

রোববার দুপুরে তাকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। তার জামিন নামঞ্জুর করে বিচারক তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। 

এর আগে শনিবার রাতে তাকে রামগঞ্জ থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন আইনজীবী জানায়, জাবেদের শ্বশুরবাড়ি রামগঞ্জে। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সালিশ ছিল রামগঞ্জ থানায়। সেখানে সালিশ করতে গেলে তাকে ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। রোববার তাকে আদালতে উঠানো হলে জামিন আবেদন করা হয়। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

জাবেদ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকার ইব্রাহিম খলিলের ছেলে। 

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, একটি হত্যা মামলায় জাবেদকে থানা থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। 

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ বলেন, আফনান হত্যা মামলায় জাবেদ নামে এক আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ৪ শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনা ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় এ পর্যন্ত ৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে মাদাম ব্রিজ ও তমিজ মার্কেট এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হামলা ও গুলি ছোঁড়ে। এতে মাদাম ব্রিজ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান, তমিজ মার্কেট এলাকায় সাব্বির হোসেন, ওসমান গণি ও কাউছার হোসেন নিহত হন।

এ হত্যার ঘটনায় ১৪ আগস্ট আফনানের মা নাছিমা আক্তার ও সাব্বিরের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাতেও একটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান আসামি করে এজাহার দায়ের করা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম