দাম বাড়ানোর পরও রাজশাহীতে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। বিশেষ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট কাটছে না দাম বাড়ার সাত দিন পরও। রাজশাহীর বিক্রেতারা আগের মতোই বলছেন, তাদের কাছে সরবরাহ কম।
অন্যদিকে ভোক্তা-ক্রেতাদের অভিযোগ, বর্ধিত দামেও মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন। না চাইলেও তারা বাধ্য হয়ে কিনছেন খোলা সয়াবিন তেল। যা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা লিটার। খোলা সয়াবিনে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কাও করছেন তারা।
এদিকে শনিবার রাজশাহীর সাহেববাজারসহ আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত ১৫ নভেম্বরের আগে সয়াবিন তেলের এক লিটারের বোতল বিক্রি হয়েছে ১৬৭ টাকায়।
অন্যদিকে ৫ লিটার সয়াবিনের বোতল বিক্রি হয়েছে ৮১৮ টাকায়। গত ৯ ডিসেম্বর সরকারিভাবে লিটারপ্রতি দাম ৮ টাকা বাড়ানোর পর খুচরায় এক লিটারের বোতল ১৭৫ এবং ৫ লিটারের বোতল ৮৭৫ টাকায় বিক্রির কথা।
রাজশাহীতে এই দামে সয়াবিন তেল মিলছে না বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।
রাজশাহীর মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সামাদ বলেন, দাম বাড়ানোর আগে বোতলজাত সয়াবিন বাজার থেকে একদম উধাও হয়ে গিয়েছিল। দাম বাড়ানোর পর কিছু দোকানে বোতলজাত সয়াবিন মিললেও বর্ধিত দামেও পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, শনিবার সকালে রাজশাহীর সাহেববাজার ও আরডিএ মার্কেটের মুদি দোকানগুলোতে এক লিটারের বোতলে নেওয়া হচ্ছে ১৮০ টাকা। খোলা সয়াবিনও প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
অন্যদিকে ৫ লিটার বোতলের দাম নেওয়া হচ্ছে ৮৮৫ টাকা। সরকারি দামের চেয়ে প্রতি লিটারে ৫ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে।
নগরীর সাহেববাজারের মুদি দোকানি শরিফ উদ্দিন জানান, দাম বাড়ার পরও চাহিদামতো সয়াবিন তেল সরবরাহ দিচ্ছে না উৎপাদক কোম্পানিগুলো।
সরবরাহ না পাওয়ায় ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। সয়াবিন তেল কোম্পানিগুলোর স্থানীয় পরিবেশক, ডিলার ও মার্কেটিং অফিসাররা বলছেন, আগের মজুত তেল বিক্রি শেষ হলে নতুন তেল বাজারে আসবে। কোম্পানিগুলোতে উৎপাদন ও পরিশোধন সমস্যা থাকায় তাৎক্ষণিক সয়াবিন সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না।
নগরীর আরডিএ মার্কেটের মুদি দোকানি মোজাম্মেল হক বলেন, অধিকাংশ দোকানেই বোতলজাত সয়াবিন সরবরাহ নেই। আগের সরবরাহ থেকে যাদের কাছে কিছু মজুত আছে তারা কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করছেন। বোতলজাত সয়াবিনের সংকট থাকায় খোলা তেল বিক্রি বেড়েছে। তবে খোলা তেলেও লিটারে কয়েক টাকা বেশি নিচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা।
কোম্পানি ও পরিবেশকরা বলেছেন, রোববার অথবা সোমবার নাগাদ সরবরাহ শুরু হবে। তখন সরকার নির্ধারিত দামে সয়াবিন তেল পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন কোম্পানির পরিবেশক ও ডিলারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের বলেছেন, দ্রুত বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। সারা দেশে সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। এরপরও আমরা নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি।