স্ট্যান্ডরিলিজ নির্বাহী প্রকৌশলী সপ্তাহের ব্যবধানে স্বস্থানে
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম
এলজিইডির পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিৎ দে
আওয়ামী লীগের ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন প্রকল্পে শতকোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে স্ট্যান্ডরিলিজ হন এলজিইডির পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিৎ দে। তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগগুলো দুদকসহ ২১টি টিম তদন্ত করছে। এর মধ্যেই সপ্তাহের ব্যবধানে তিনি পুনরায় কর্মস্থলে যোগ দেন। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে পিরোজপুর (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিৎকে গত ২১ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট বিভাগ কুড়িগ্রামে স্ট্যান্ডরিলিজ করেন (স্মারক নং ৪৬.০০.০০০০.০০০.০৬৭.১৯.০০০৪.২৪-৮৪৬)। ২২ নভেম্বর মাসুদুজ্জামান পিরোজপুর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব নেন।
মেসার্স শিকদার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বেলায়েত হোসেন শিকদার, ঠিকাদার আলামীন হাওলাদার, সোহেল হাওলাদার ও কাওসার হোসেন জানান, আগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার গত ২৯ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এই কর্মকর্তার চেয়ারে গত ৩০ জুন যোগদান করেন রনজিৎ দে।
তারা বলেন, কর্মস্থলে যোগদানের পর জেলাব্যাপী আওয়ামী লীগ ঠিকাদারদের সঙ্গে গড়ে ওঠে তার গভীর সম্পর্ক। অল্পদিনেই বিভিন্ন প্রকল্পে নয়ছয় শুরু করেন। কামিয়ে নিয়েছেন কাড়ি কাড়ি অর্থ।
তারা জানান, মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে তার বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ উঠায় তদন্তে স্বচ্ছতার জন্য গত ২১ নভেম্বর তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিনি পুনরায় পিরোজপুরে কর্মস্থলে যোগ দেন।
মেসার্স শিকদার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও ঠিকাদাররা জানান, দুদকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ২০ জন প্রজেক্ট ডিরেক্টরের (পিডি) নেতৃত্বে ২১ টিম তার অনিয়ম তদন্ত করছে। তদন্তের সময় কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করায় তার বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম চাপা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সাধারণ ঠিকাদাররা শঙ্কিত। এর আগে রনজিৎ দে মাদারীপুর উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পিরোজপুর (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিৎ দে বদলি এবং পুনরায় যোগদানের কোনো মন্তব্য না করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি আপনার কাছেই শুনলাম।
এ ব্যাপারে জানতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রশাসন) মাহবুবুর রহমানের মুঠোফোনে (০১৭১১-১৭৩৪৪৯) একাধিক কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমার নজরে এলে খতিয়ে দেখা হবে।