নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক বখাটে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নাতনিকে বলপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেওয়ায় লাথি মেরে নানি শাহিদা বেগমকে হত্যা এবং নানা ও মাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার ( ১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী নাতনি মীমের মা রওশন আরা এবং নানা ফজলুল করিমকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শাহিদা বেগমের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত শাহিদা বেগমের মেয়ে শারমিন আক্তার জানান, পার্শ্ববর্তী উচিৎপুরা ইউনিয়নের দাসিরদিয়া গ্রামের ছায়েদ আলীর ছেলে বখাটে আমানের (৩০) সঙ্গে হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দী গ্রামের রওশন আরার মেয়ে মীমের (১৬) ফেসবুকে পরিচয় হয়।

পরে মীম আমানের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখায় আমান মীমের এলাকায় এসে তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। ঘটনার সময় মীমের গ্রামের দেলোয়ারসহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে মীমকে তার বাড়ি থেকে বলপূর্বক তুলে নিতে চেষ্টা করে আমান। এতে বাধা দেন মীমের পরিবারের লোকজন।

বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমানের লাথির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মীমের নানি শাহিদা বেগমের মৃত্যু হয়।

শাহিদা বেগমকে বাঁচাতে এলে মীমের মা রওশন আরাকে মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে এবং মীমের নানা ফজলুল করিমকেও পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা।

গুরুতর আহত অবস্থায় মীমের মা রওশন আরা ও নানা ফজলুল করিমকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠায়।

আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, হামলার ঘটনা ঘটলেও শাহিদা বেগমের মৃত্যু আঘাতের কারণে হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না।