শীতের বিকালে সড়কের দুপাশে টাটকা বিষমুক্ত সবজি
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
জমি থেকে নিয়ে এসে সড়কের পাশে বসে পাইকারি দরে বিষমুক্ত টাটকা সবজি বিক্রি করছেন কৃষক। দুপুর ২টার পর দূর-দূরান্ত থেকে পাইকার এসে সবজি কিনছেন কৃষকদের কাছ থেকে।
শীতের বিকালে এমন দৃশ্য দেখা মেলে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রখোলা গাড়িস্ট্যান্ডের প্রধান সড়কের দুই পাশে।
নবাবগঞ্জের মধ্যে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় এই সবজি বাজার হিসেবে সবার কাছে পরিচিত নবাবগঞ্জ-পাড়াগ্রাম প্রধান সড়কের চন্দ্রখোলা নামক স্থানটি। যদিও শীতকালীন ছাড়া অন্যান্য সময়ে এই সবজি বাজার বসে সকালে। শীতের মৌসুম নভেম্বর মাস এলেই বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয় পাইকারি সবজি বেচাকেনা।
তবে কৃষকরা সবজি নিয়ে দুপুর ১২টা থেকে আসতে শুরু করেন। সবজি এনে সড়কের পাশ দিয়ে সাজিয়ে রাখেন। পাইকার এসে দামদর করে কিনে নিয়ে যান দূর-দূরান্তে।
চন্দ্রখোলা বাজারের আশপাশে কান্দামাত্রা, ভাওয়ালি, হরিষকুল, শোল্লা, চকোরিয়া, চকসিংহড়া, বাঁশনল, বালুখন্ড, দত্তখন্ড, সিংহড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সবজি চাষাবাদ হয়ে থাকে। তাই এই বাজারে সবজি বেচাকেনা বেশি হয়ে থাকে। বিকাল হলেই সড়কে ভিড় লেগে যায় বিভিন্ন ধরনের সবজি বেচাকেনায়।
বিকালে সরেজমিন এই সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে শীতকালীন সবজি হিসেবে বাজারে রয়েছে- লাউ, সিম, ফুলকপি, মুলা, গোল বেগুন, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, ঝিঙ্গা, বরবটি, কাঁচকলা, কাঁচা কুমড়া, ধনিয়া পাতাসহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি।
রনি মণ্ডল যন্ত্রাইল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকা থেকে ফুলকপি নিয়ে এসেছেন এই বাজারে। তিনি বলেন, করোনাকালে এই সবজি বাজারটি শুরু হয়। আমি প্রতিনিয়ত সবজি বিক্রি করতে আসি। এখানে সবজি বিক্রি করে কম সময়ে বাড়িতে যেতে পারি নিরাপদে। সবমিলিয়ে এ বাজারটি আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে।
লাউ বিক্রি করতে আসা কৃষক স্বদেব মজুমদার বলেন, আমিও নিয়মিত এই বাজারে আসি সবজি বিক্রি করতে। বিভিন্ন বাজার থেকে পাইকার এসে আমাদের সবজিগুলো কিনে নিয়ে যান। দাম বেশ ভালো পাই।
অন্যদিকে এই সবজি বাজারে সবজি কিনতে আসা বেশ কয়েকজন পাইকারের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় জয়পাড়া, নবাবগঞ্জ, রোহিতপুর, রামেরকান্দা, হযরতপুর, পাড়াগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন।