ফরিদপুরে নিখোঁজের একদিন পর তাহিয়া ইসলাম (৭) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন প্রতিবেশী হায়দার মোল্লাকে পুলিশ আটক করে। পরে উত্তেজিত জনতা পুলিশের কাছ থেকে হায়দার মোল্যাকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

এ সময় উত্তেজিত জনতার হাতে কোতোয়ালি থানার ওসি ও পরিদর্শকসহ (তদন্ত) ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরনসিপুর নবুমল্লিকের খালপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আহতরা হলেন- কোতোয়ালি থানার ওসি আসাদউজ্জামান, পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর ইকবাল, এসআই মো. মোরশেদ, ফাহিম ফয়সাল। আহতদের মধ্যে মো. মোরশেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর ইকবাল। 

জানা গেছে, ওই গ্রামের জিয়া মোল্লার মেয়ে তাহিয়া ইসলাম গত মঙ্গলবার বিকালে এলাকার জনৈক ইউনুছের বাড়ি এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। পরে এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি ও এলাকায় মাইকিং করা হয়। বুধবার বিকালে শিশুর প্রতিবেশী সন্দেহভাজন ওই এলাকায় হায়দার মোল্লার বাড়ি থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় পুলিশ হায়দারকে আটক করে।

স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের কাছ থেকে হায়দারকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। 

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর ইকবাল বলেন, আটক হায়দারকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে থানার ওসিসহ পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে এসআই মোরশেদ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।