বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে পরিসংখ্যান অফিসে অর্থ শুমারি প্রশিক্ষণে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সুযোগসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনেছে উপজেলা জামায়াত।

মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরি অ্যান্ড ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব অভিযোগ করা হয়। এছাড়া উপজেলা নাগরিক কমিটি তাকে অপসারণে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সারিয়াকান্দি উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইকবাল হোসেন।

উপস্থিত ছিলেন- নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আব্দুল মাজেদ, সহ-সেক্রেটারি সাদিকুল ইসলাম স্বপন, বায়তুল মাল বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন নেতা আশিকুল ইসলাম বেলাল, আনোয়ার হোসেন বিপ্লব, উপজেলা শিবির সভাপতি আব্দুস সোবহান, যুব সেক্রেটারি সোহাগ মিয়া প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে ইউএনওর বিরুদ্ধে ১৩টি অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমানকে অপসারণের ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন উপজেলা নাগরিক কমিটির নেতারা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনওর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এ আলটিমেটাম দেন।

একই দাবিতে একই সময়ে বিক্ষোভ করেছেন উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারও।

নাগরিক কমিটির সদস্য বুলবুল আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক সাইফান রহমান, শরিফুল ইসলাম মুশফিক, শাকিব হাসান শান্ত, নাগরিক কমিটির সদস্য আকাশ মাহমুদ, সমাজ কর্মী শিবলী সরকার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা আনোয়ার হোসেন বিপ্লব, ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য মাহমুদ হাসান শাওন, ছাত্র সংগঠক আব্দুস সোবহান প্রমুখ।

এ প্রসঙ্গে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমান বলেন, পরিসংখ্যান অফিসে অর্থ শুমারি প্রশিক্ষণ নিয়ে জামায়াতের নেতারা বিক্ষোভ করেছেন। সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগের তালিকা বহাল রেখে প্রশিক্ষণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে আসলে আমার কোনো হাত নেই। তালিকা পরিবর্তন না করায় তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।