গুলিতে নিহত শিবির কর্মীর লাশ তোলা হলো ১১ বছর পর
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত শিবির কর্মীর লাশ ১১ বছর পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। এ সময় লাশের মধ্যে একটি গুলি পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের নয়ন হাজী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে ২০১৩ সালে গুলিতে নিহত শিবির কর্মী মতিউর রহমান সজিবের লাশ তোলা হয়।
২০১৩ সালে ৪ জামায়াত-শিবির কর্মী গুলিতে নিহতের ঘটনায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য আদালত ওই ৪ জনের লাশ তোলার নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশের পর মঙ্গলবার দুপুরে নিহত শিবির কর্মী সজিবের লাশ তোলা হয়। গুলিতে নিহত অপর ৩ জামায়াত-শিবির কর্মী সাইফুল ইসলাম, আবদুল আজিজ রায়হান ও সাইফুল ইসলাম বাবলুর লাশ পর্যায়ক্রমে কবর থেকে তোলা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
লাশ তোলার সময় উপস্থিত ছিলেন- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাবেল উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম, হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এসআই মঈনুল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, পৌরসভা আমির মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন ও নিহতের স্বজনরা।
২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন।
আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালীন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করে।