কুকুরের ডাকে মিলল নিখোঁজ কিশোরের লাশ
নোয়াখালী ও বেগমগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের এক টয়লেটের ট্যাংকি থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় রবিন হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ট্যাংকিটির পাশে দীর্ঘ সময় ধরে কুকুর ডাকাডাকি করলে কৌতূহলবসত বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে লাশটি দেখতে পান।
গত ৬ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল রবিন নামের ওই কিশোর।
সোমবার দুপুরে কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড চুলডগি গ্রামের জামালের বাড়ির ট্যাংকি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রবিন হোসেন ওই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড রামহরিতালুক গ্রামের মাকু মিয়া সওদাগর বাড়ির ইউনুসের ছেলে। সে তার বাবার সঙ্গে অটোরিকশা চালাত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বর মাসে কাজের সন্ধানে ঢাকা যান ইউনুস। যাওয়ার সময় তার ছেলেকে নিজের অটোরিকশাটি চালানোর জন্য বুঝিয়ে দিয়ে যান তিনি। ইউনুস যাওয়ার পর সারা দিন রিকশা চালিয়ে নিজের সৎমা রুনা আক্তারের সঙ্গে বাড়িতে থাকত রবিন। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হয় রবিন। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েলসহ (২৬) অজ্ঞাত কয়েকজন লোকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় রবিনের।
পরবর্তীতে রবিন নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন এ বিষয়ে জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এলোমেলো কথাবার্তা বলে। পরে জুয়েলকে পুলিশে সোপর্দ করেন লোকজন।
সোমবার সকালে কুকুর ডাকার শব্দে জামালের বাড়ির ট্যাংকির ঢাকনা খুলে ভিতরে রবিনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন লোকজন।
সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে রবিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রবিন নিখোঁজ হওয়ার পর গত ৫ ডিসেম্বর তার মা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ভিকটিমকে না পেয়ে সেটিকে অপহরণ মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটকও করা হয়। ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে এবং ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে।