লিজ নেওয়া পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে পাবনার ঈশ্বরদীতে দুগ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে বিএনপির তিন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোববার রাতে উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল কাঁঠাততলা মোড়ে এ সংঘর্ষ ঘটে।  

গুলিবিদ্ধরা হলেন—পাকশী ইউনিয়নের জফু বিশ্বাসের ছেলে সেলিম বিশ্বাস (৪৫), মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে আইনুল ইসলাম (৫৮), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাছিম আহমেদ (২৭) ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সরকারি খাস পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর রাতে লিজ নেওয়া পুকুরে প্রায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে মনোমালিন্য ও বিভেদ সৃষ্টি হয়। রোববার রাতে উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বসে ছিলেন স্থানীয় বিএনপি কর্মী সেলিম বিশ্বাসসহ তার অনুসারীরা। এ সময় একই দলের প্রতিপক্ষের আরও একটি গ্রুপ দলবদ্ধভাবে এসে প্রথমে এলোপাতাড়ি কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় বিএনপির কর্মী সেলিম ও আইনুলকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তারা গুলিবিদ্ধ হন। এলোপাতাড়ি গুলিতে সেলিম ও আইনুলের হাতে ও হাঁটুর নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।  

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহীদ জানান, মাছ ধরা নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে বিএনপির তিন কর্মী আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

ওসি আরও বলেন, কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে মামলা হবে।