ভারতীয় প্রচার মাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার এবং ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে শনিবার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। 

এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সম্প্রীতি র‌্যালি হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি থেকে বক্তারা, ভারতীয় আগ্রাসনসহ নানা বিষয় নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘকে (ইসকন) জঙ্গি সংগঠন অ্যাখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ এবং ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দেন। 

যুগান্তর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: গাইবান্ধায় বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট নওশাদুজ্জামান নওশাদ, জাহিদুল হক প্রমুখ। 

জুড়ীতে সর্বধর্মীয় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ছাত্র-জনতার ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে ভারতীয় সীমান্তের দিকে অগ্রসর হয়ে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন। 

ফুলতলা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম শেলুর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. তারেক মিয়া। বক্তব্য দেন মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রহমান, পূজা উদযাপন পরিষদের জায়ফরনগর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি রতীশ চন্দ্র দাশ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ফুলতলা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মিলন চন্দ্র পাল। 

লক্ষ্মীপুরে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) জেলা শাখার ব্যানারে মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। বক্তব্য দেন জেলা বাসদের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মিলন মণ্ডল ও অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হোসেন রিয়াজ প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, ভারতের আগ্রাসন রুখতে দেশের মানুষ প্রস্তুত। তাদের কোনো অন্যায় দাবি মেনে নেওয়া হবে না। বাউফলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। 

সমাবেশে বক্তব্য দেন জমিয়াতে হিজবুল্লাহ বগা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দিন, ইসলামী ছাত্র শিবির পটুয়াখালী জেলা শাখার সেক্রেটারি মো. মুজাহিদুল ইসলাম। 

ভাঙ্গায় আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশে হিন্দু নেতারা একাত্মতা ঘোষণা করে করেন। উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম মাদানীর সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন মুফতি ফরহাদ হোসেন। 

বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব মোল্লা, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা সারোয়ার হোসাইন।