নওগাঁয় যুবদল নেতা আব্দুল মজিদ হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকায় নওগাঁ-সান্তাহার সড়কে বোয়ালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 

২ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি আবদুল মজিদকে গুলি করা হয়। এ সময় মজিদের দুই ভাই কাবিল হোসেন, শফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় সুবিদ আলী হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের কুপিয়ে জখম করে। 

২৬ নভেম্বর বগুড়ার শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মজিদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ। তবে মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী এখনো গ্রেফতার হননি। 

বোয়াালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশতাক আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নওগাঁ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজমুল হক, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রহমান ও শফিউল আজম রানা, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন, নিহত যুবদল নেতা আব্দুল মজিদের বড় ভাই মোকসেদুল ইসলাম প্রমুখ। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় যুবদল নেতা আব্দুল মজিদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তিনটি মোটরসাইকেলে এসে আব্দুল মজিদের ওপর গুলি চালায়। এ হামলার নেতৃত্বে ছিলেন বোয়ালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ আলী, তার সহযোগী আব্দুল্লাহ, রফিক ও মিলন। 

৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলীর দখলে থাকা জমি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে মজিদের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জেরে ২ নভেম্বর আব্দুল মজিদের ওপর মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। হামলার ঘটনার পর এক মাস হলেও থানা পুলিশ এখনও মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মোহাম্মদ আলীকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন বক্তারা। 

মজিদের বড় ভাই মোকসেদুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল; কিন্তু কোনো দিন কোনো অন্যায় কাজ করেনি। মানুষের উপকার করে বেড়াত। এলাকার কোথায় কার কী সমস্যা হচ্ছে সেখানে চলে যেত, সমাধানের চেষ্টা করতো। সেই মানুষটাকে গুলি করে হত্যা করা হলো। অথচ পুলিশ এখনও হত্যাকারী মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করতে পারল না। আমি মোহাম্মদ আলীসহ সব আসামিকে গ্রেফতার দেখতে চাই, তাদের বিচার আওতায় আনা হয়েছে দেখতে চাই।  

নওগাঁ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এ পর্যন্ত পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোহাম্মদ আলীসহ বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।