আইনজীবী সাইফুল হত্যা
প্রধান আসামি চন্দন ৭ ও রিপন ৫ দিনের রিমান্ডে
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসের ৭ দিন এবং অপর আসামি রিপনের ৫ দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (বিশেষ আদালত) কাজী শরিফুল ইসলাম শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী জিয়াউর রহমান। রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পরই আদালত প্রাঙ্গণে হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন সাধারণ আইনজীবীরা। এ সময় তারা ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানান।
এদিন দুপুরে সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এজাহারের ১ নম্বর আসামি চন্দন দাসের ৭ দিনের ও রিপনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানিতে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে বলেন, দুই আসামি হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তারা (আসামিরা) ঘটনায় ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করেছে। কারা এসব ধারালো অস্ত্রগুলো সরবরাহ করেছে, কাদের ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটছে, কারা এ ঘটনায় উসকানিদাতা, অপরাপর আসামিরা কে কোথায় রয়েছে তা জানার জন্য আসামিদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে বুধবার রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি ও ভৈরব থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া ঘটনায় জড়িত রিপন দাসকে বৃহস্পতিবার রাতে আনোয়ারা উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার দিন তাকে বঁটি হাতে দেখা গিয়েছিল। সে নগরের কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকার মৃদুল দাসের ছেলে। পেশায় ফার্মেসির কর্মচারী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির এডিসি (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ।
তিনি বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আনোয়ারা উপজেলা থেকে রিপনকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যার ঘটনার ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে নীল রংয়ের গেঞ্জি পরিহিত ও হাতে বঁটি নিয়ে ঘটনাস্থলে দেখা গেছে তাকে। তবে সে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি নয়। তদন্তে প্রাপ্ত আসামি। আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন আবেদন নাকচ করে ইসকন নেতা চিš§য় দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরিফুল ইসলাম। সেদিন তাকে বহন করা প্রিজন ভ্যান দুপুর ১২টা থেকে ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত আটকে রাখে তার অনুসারীরা। ওইদিন সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সাইফুল হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।