আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বরিশালের গৌরনদীতে ছাত্রদলের দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পালটাধাওয়া, হামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের ১১ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় ৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ও দুপুরে সরকারি গৌরনদী কলেজ ক্যাম্পাসে এ সংঘর্ষ হয়। 

পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গুরুতর আহতাবস্থায় দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

সূত্র জানায়, গৌরনদী কলেজ ক্যাম্পাসে একমাস ধরে পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন ও কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব তানভির হাসান তানিমের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে তানিমের ৬ থেকে ৭ সমর্থক বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে সাদ্দামের সমর্থক মুহিন সরদারকে মারধর করে। 

এ খবরে সাদ্দামের নেতৃত্বে ছাত্রদলের ১০-১২ কর্মী-সমর্থক ক্যাম্পাসে পালটা হামলা চালিয়ে ছাত্রদল নেতা তানিম, কর্মী ইয়াসিন আরাফাত, লিমন ইসলাম অমিতকে মারধর করে। 

প্রতিবাদে কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইত্তেসাম পারভেজ ও সদস্য সচিব তানিমের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছায়। 

এ সময় সাদ্দামের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন নেতাকর্মী দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিলের ওপর হামলা চালালে উভয়পক্ষ ধাওয়া-পালটাধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। 

সেখানে ৫-৬টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। কয়েক দফা হামলায় ছাত্রদল নেতা তানিম, তার সমর্থক আরাফাত, আরিফ মৃধা, সোহান সরদার, ইমরান মাহামুদ, সাকিব খান জয়, হৃদয় ও ছাত্রদল নেতা সাদ্দামের সমর্থক পৌর ছাত্রদলের সদস্য নয়ন হাওলাদার, কলেজ ছাত্রদলের কর্মী মান্নান ডাক্তার, মুহিন সরদার, লিমন সরদারসহ ১১ নেতাকর্মী আহত  হয়। 

গৌরনদী থানার ওসি ইউনুস মিয়া জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।