উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে ভাঙচুর, ডেপুটি কমান্ডার লাঞ্ছিত
বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ পিএম
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার কাজী নাছির। বুধবার দুপুরে বন্দর থানা যুবদলের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
বন্দর থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার কাজী নাছির বলেন, বুধবার সকালে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসন্ন বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে একটি প্রস্তুতিমূলক সভা ছিল।
ওই সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয় যে, ৫ আগস্টের পর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স থেকে এলইডি টেলিভিশন চুরি হয়ে গেছে এবং সংসদে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এবং বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম তাদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পরিদর্শনে আসেন। তারা চলে যাবার পর যুবদলের নেতাকর্মীরা সংসদে প্রবেশ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাঙচুর করে। ওই সময় বাধা দিতে গেলে যুবদলের ছেলেরা কাজী নাছিরকে লাঞ্ছিত করেন।
বন্দর থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ূন কবির বলেন, দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে প্রবেশ করতে দেখি। ওই সময় আমরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে প্রবেশ করতে চাইলে আমাদের বাধা দেওয়া হয়। তখন আমরা ভেবেছি এখানে কোনো গোপন সভা হচ্ছে। একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসি সংসদ থেকে বেরিয়ে গেলে আমরা জোর করে সেখানে প্রবেশ করি। প্রবেশ করে দেখি মুক্তিযোদ্ধা সংসদে তখনও ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টানানো। আমরা উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের সঙ্গে বলি যাদের হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত তাদের ছবি এখনো কেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদে টানানো থাকবে। ওই সময় যুবদলের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের ছবি অপসারণ করে এবং সংসদের বাইরে থাকা শেখ মুজিবের প্রতিচ্ছবি কালি দিয়ে ঢেকে দেয়। এর বেশি কিছু হয়নি।
জানতে চাইলে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি দুপুরের পর সেখানে থেকে কিছু ছবি অপসারণ করা হয়েছে। কোনো ভাঙচুর বা হামলার ঘটনা ঘটেনি।
ঘটনা প্রসঙ্গে একই কথা বলেন বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম।