জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বড় সাইজের প্রতি কেজি তাল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা দরে। খরচ উঠছে না বেগুন চাষিদের।
বুধবার দেওয়ানগঞ্জ পৌরহাটে বিপুল পরিমাণ ছোটবড় সাইজের টাল বেগুন জন্য নিয়ে এসেছেন বেগুন চাষিরা। দুপুরের থেকে শুরু হয় সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে বেগুন আমদানি হয়। দাম কম থাকায় বেগুন কিনতে হাটে পুরুষের পাশাপাশি নারী ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
হাটে আসা অনেক ক্রেতা বলাবলি করে বলছেন- আলুর অনেক দাম, তাই ভর্তা খাওয়া বাদ দিয়েছি। হালকা শীত পড়েছে। হাটে তাল বেগুনের দাম কম থাকায় বেশি করে বেগুন কিনছে অনেকে। বেগুন ভর্তাই তাদের প্রিয়।
হাটে প্রচুর তাল বেগুন উঠায় দাম কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মাদারেরচর বেগুন চাষি আলেফ যুগান্তরকে বলেন, এবার বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কার্তিক মাসের প্রথম দিকে ৭০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করেছি। জমি থেকে এ দুই মাসে ৮ বার বেগুন তোলা হয়েছে, দামও ভালো পেয়েছি।
মদনেরচরের কৃষক জাকিরুল জানান, এ বছর এখন শীত ভালোভাবে না পড়ার কারণে বড়বড় টাল বেগুনগুলোতে পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে, কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না, তাই বাধ্য হয়ে ক্ষেতের বেগুন কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।
অপর কৃষক বাহাদুরাবাদের তমিজ জানান, বাহাদুরাবাদ থেকে বেগুন পিকআপে করে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
হাটে বেগুন কিনতে আসা রীতা নামে এক নারী যুগান্তরকে বলেন, ভাই শীতে বেগুন ভর্তা খেতে মজা, তাই বেশি বেগুন কিনলাম।
বুধবার পৌরহাটে সরেজমিন দেখা যায়, হাটে প্রচুর পরিমাণ তাল বেগুন উঠেছে, দাম কম থাকায় ফুটা বেগুন কিনতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষণীয় ছিল।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন জানান, এ বছর সাড়ে ৩শ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ হয়েছে।