বাগেরহাটের চিতলমারীতে গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে বেসরকারি এনজিও সংস্থা রেনেসাঁর পরিচালক আনন্দ মোহন বিশ্বাস সপরিবারে লাপাত্তা হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় শত শত গ্রাহক জমাকৃত অর্থ ফেরত পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। এ নিয়ে গ্রাহকের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।

উপজেলার খড়মখালী গ্রামের বিকাশ বালা প্রতি লাখে মাসে ১২০০ টাকা লাভে ১০ লাখ টাকা, কাননচক গ্রামের হাসি রায় তার পরিবারের ২১ লাখ ১৭ হাজার টাকা, একই গ্রামের লিপিমণ্ডল তার ৬ লাখ ২ হাজার পাঁচশ টাকা, দুর্গাপুর গ্রামের দীলিপ সরকারের দেড় লাখ টাকাসহ এলাকার শত শত গ্রাহকের টাকা নিয়ে রেনেসাঁর পরিচালক আনন্দ মোহন বিশ্বাস সপরিবারে পালিয়েছে। 

গত কয়েক মাস ধরে রেনেসাঁ অফিসের প্রধান গেটে তালা দেওয়া। ওই অফিসের পরিচালক আনন্দ মোহন বিশ্বাসকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার হালিশহরে গিয়েও বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি বলে ভুক্তাভোগীরা জানান। 

গ্রাহকের লাখ লাখ টাকা নিয়ে রেনেসাঁর পরিচালক আনন্দ মোহন বিশ্বাস সপরিবারে লাপাত্তা হয়েছেন বলে অনেক গ্রাহক উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। 

মঙ্গলবার (৩ নভেন্বর) বিকালে উপজেলার চরনিয়ারী  ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা তাদের জমা করা অর্থ ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন।

খাসেরহাট এলাকার মিঠুন বিশ্বাস জানান, তার মায়ের একটি সঞ্চয় হিসাব খোলা ছিল রেনেসাঁ অফিসে। দীর্ঘ দিন ধরে তার মা সঞ্চয় জমা করে আসছেন। এখন জানতে পেরেছেন অফিসের পরিচালককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আনন্দ মোহনকে দ্রুত খুঁজে বের করে টাকা ফেরত পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা। 

রেনেসাঁর পরিচালক আনন্দ মোহন বিশ্বাসের ফোনে বহুবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম মতুয়া সংঘের সাধু পুরুষ খ্যাত শ্রী বিজয়কৃষ্ণ গোঁসাইয়ের ছেলে রেনেসাঁর পরিচালক আনন্দ মোহন বিশ্বাস। বাবার খ্যাতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি লোকজনের বিশ্বাস অর্জন করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যান।