‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নস্যাতের ষড়যন্ত্র চলছে’
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বাংলাদেশ সারা বিশ্বে অসাম্প্রদায়িকতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশবিরোধী অপশক্তির প্রত্যক্ষ মদদে তাদের এ দেশীয় দোসরদের দ্বারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নস্যাতের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলা-ভাঙচুর, জাতীয় পতাকা অবমাননা ও ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম এসব কথা বলেন।
সমাবেশে শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর নুর আহমদ সড়ক, লাভ লেইন মোড়, এনায়েত বাজার মোড়, জুবলি রোড হয়ে রিয়াজ উদ্দিন বাজার তিন পুলের মাথায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেয়।
ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ন্যক্কারজনক হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মাহবুবের রহমান শামীম আরও বলেন, বাংলাদেশে বিগত ১৬ বছর স্বৈরতন্ত্র বলবৎ রাখতে ভারত নগ্নভাবে আওয়ামী লীগকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এ দেশের জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেয়া পলাতক স্বৈরাচারকে আশ্রয় প্রদানপূর্বক সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় এ দেশের মানুষের মাঝে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট আরও তীব্র হয়েছে। এ দেশে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক। এটা ভারতের শাসকগোষ্ঠী যত দ্রুত অনুধাবন করতে পারবে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা মঙ্গলজনক হবে।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন বলেন।
তিনি বলেন, এ দেশের জনগণ ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে দিল্লির দাদাদের দাদাগিরি করার জন্য না।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এমএ আজিজ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এসএম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, শফিকুর রহমান স্বপন প্রমুখ।