যশোরের অভয়নগর উপজেলায় সরকারের ভর্তুকির ২ হাজার ৪২০ বস্তা চায়না ডিএপি সারসহ তিনটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৩ ডিলারের নামে উপসহকারী কৃষি অফিসার প্রসেন মণ্ডল বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আসামিরা হচ্ছেন- রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দির মেসার্স সোহাগ এন্টারপ্রাইজের মালিক একেএম আমিরুল ইসলাম, গোয়ালন্দ উপজেলার মেসার্স সপ্তবর্না ট্রেডার্সের মালিক রণজিত কুমার সরকার, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ইউনিভার্সাল ট্রেডের মালিক মিজানুর রহমান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার বিকালে নওয়াপাড়ার রাজঘাট এলাকা থেকে তিনটি ট্রাক ভর্তি ২ হাজার ৪২০ বস্তা ডিএপি সার অন্য উপজেলায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আমদানিকারক ও স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে রাজঘাট এলাকায় ট্রাক তিনটিকে আটক করে। পরবর্তীতে উপজেলা কৃষি অফিসার সরেজমিন এসে সংশ্লিষ্ট ডিলারদের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে তারা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

নওয়াপাড়ার সার ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন একটি চক্র নওয়াপাড়া বাজার থেকে সরকারি ভর্তুকির সার বেশি মুনাফার লাভে কালোবাজারে বিক্রি করে আসছে। এই কালোবাজারি সিন্ডিকেটদের আইনি আওতায় আনার কথা বলেন তিনি।

এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে একটি চক্র ডিলারদের কাছ থেকে বরাদ্দপত্র কিনে ৯৫০ টাকার ভর্তুকির সার কৃষকদের কাছে ১ হাজার ৪শ টাকায় বিক্রি করে আসছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে তিনজন ডিলারের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ২ হাজার ৪২০ বস্তা ডিএপি সার বিতরণ করা হয়েছিল সাইফুল্লাহ তাকওয়ার নামক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে; কিন্তু বরাদ্দকৃত সার সংশ্লিষ্ট উপজেলায় না নিয়ে একটি চক্র বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিল। পথে সারসহ ট্রাক তিনটি জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভয়নগর থানার ওসি মো. এমাদুল করিম বলেন,  জব্দকৃত সারের তিনজন ডিলার মালিকদের নামে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।